জয়পুরহাটে ৬ ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের শিক্ষককে ধরতে প্রশাসনের তোলপাড়।
নিরেন দাস(CHANNEL4TV)জয়পুরহাট।
শিক্ষক কর্তৃক ৬ ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী কে যৌন হয়রানীর অভিযোগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার কুয়াতপুর জিন্নাতিয়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রীর পিতা আজিজুল রহমান মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে সঠিক বিচার দাবি চেয়েছেন ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসীরা। মামলার বিবরন, ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়- চলতি বছরের ৭ নভেম্বর বেলা ১২ টার দিকে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তার কম্পিউটার ক্লাসে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রাজিয়া সুলতানাকে যৌন হয়রানী করে। অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য ছাত্রীদের অশ্লীল কথাবার্তা, কু-প্রস্তাব নিয়মিত দিয়ে থাকে ও সুযোগ পেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে।
গত ১২ এ নভেম্বর পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসা এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন যৌন হয়রানীর শিকার রাজিয়ার পরিবার। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা পাঁচবিবি থানার ওসি কে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্ত করে ২৮ নভেম্বর শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে পাঁচবিবি থানা পুলিশ, মামলা নং ৭৯ ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমনআইন "সংশোধনি/ ২০০৩" ভুক্তভুগি ছাত্রী রাজিয়ার মা- করিমা খাতুন ও পিতা আজিজুল রহমান ও পরিবারের লোকজন বলেন- মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মান্নান অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে বিভিন্ন ভাবে বাচাঁনোর সহযোগিতা করছে ও রাজিয়ার যৌন হয়ানীর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিচার দাবি করছি, আর যেন কোন ছাত্রীকে এমন ঘটনা না ঘটাতে পারে। কুয়াতপুর জিন্নাতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মান্নান বলেন- কম্পিউটার শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর রাজিয়া নামে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীরনের মামলা হয়েছে এখনো আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তবে আমরা খুব তারাতারি ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যপারে ঐ মাদ্রাসার সভাপতি রশীদ দেওয়ান বলেন, শিক্ষক যদি অপরাধ করে থাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়ায় যায়।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ বজলার রহমান বলেন, রাজিয়ার সুলতানার পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীরনের মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিকে ধরার জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাঁচবিবি উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজিবুল আলম বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আশার পরই পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, এখনো আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেবে এমনি আশা করছেন ভুক্তভুগির পরিবার ও এলাকাবাসীরা।