একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলোর কোনো প্রার্থী না থাকায় দু’লাখের বেশি পাহাড়ি ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে আনা খাগড়াছড়ি প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ইউপিডিএফের দু’জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় সংগঠনটি পাহাড়ি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করতে পারে বলে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
খাগড়াছড়িতে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফের যেমন শক্ত অবস্থান রয়েছে, তেমনি ইউপিডিএফ ভেঙে নব গঠিত গণতান্ত্রিকের রয়েছে জন সমর্থন। এর মাঝে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ইউপিডিএফের দুজন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসাবেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বাছাইয়ে দু’জনই বাদ পড়ে যায়। এক্ষেত্রে নির্বাচনের মাঠে থাকতে না পারায় পাহাড়ি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে ইউপিডিএফ বাধার সৃষ্টি করতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, 'অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমরা আহবান করছি। আঞ্চলিক গ্রুপ রয়েছে। তাদের কাছে যে অস্ত্রগুলো আছে সেগুলো উদ্ধারের ব্যাপারে আমরা বলছি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে তত এই বিষয়গুলো ঘনিয়ে আসবে।'
৯টি উপজেলা এবং ৩টি পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৮ জন। এর মধ্যে প্রায় দু’লাখ পাহাড়ি ভোটার। বিপুল এ ভোটারের ভোট কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে ইউপিডিএফ যাতে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, 'নির্বিঘ্নে যেন পাহাড়ি ভোটার আসতে ও যেতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।'
এদিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা আসন্ন নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে বলে শঙ্কায় রয়েছে প্রধান দু’দলের প্রার্থীরা’ও। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি তাদের।