প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া এখন উৎসব মুখর
নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার জনসভাকে কেন্দ্র করে নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষন দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ- ৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নেতা কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রচার প্রচারনা নিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা মুখরিত হয়ে উঠেছে। বর্নিল সাজে কোটালীপাড়াকে সর্জিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জনসভার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন। তবে কোটালীপাড়া উপজেলার জনসভাটি তার নির্বাচনী প্রথম জনসভা। বুধবার (১২ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহাপাঠ ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ কাজী নিশাত রসুল স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু বলেন, পিছিয়ে পড়া এই জনপদকে আধুনিক কোটালীপাড়া হিসেবে গড়ে তুলেছেন প্রধাননমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের কর্মসংস্থানসহ সব ধরনের উন্নয়ন করেছেন। তিনি কোটালীপাড়া বাসীকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন। আমরাও তাকে শ্রদ্ধা করি। তাই তাকে ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করবো। সকলে মিলে জনসভায় অংশ নিয়ে প্রধনমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা শুনবো।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল লাখ লাখ জনতার উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে। কোটালীপাড়ার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ এ জনসভায় অংশ নেবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ- ৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য এ ঘাঁটি থেকে তিনি বিপুল ভোটে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে টানা তিনবার সরকার গঠন করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে সফল ও সাফল্য মন্ডিত করতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল বলেন, শুধু কোটালীপাড়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাই নয় এর আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও এই জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে। এটি যেমন আমাদের প্রিয় নেত্রীর প্রথম নির্বাচনী জনসভা তেমনিই এই জনসভাটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ জনসভা।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোটালীপাড়া সফর সফল করতে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দফায় দফায় সভা করেছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।