বিএনপিকে নতুন করে জাগতে হলে আরো পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে এ মন্তব্য করেছেন সেলিম ওসমান
মহান বিজয়য়ের মাস উপলক্ষে শহরের জল্লারপাড় ঈদগাহ মাঠে এলাকাবাসী আয়োজিত আলোচনা সভা ও উঠান বৈঠকে যোগদান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদমাধ্যমকে সেলিম ওসমান এ কথা জানান।
বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, 'নতুন করে মাঠ গোছাতে হলে তাদের নতুন লাঙ্গল লাগবে। নতুন লাঙ্গল দিয়ে নতুন চাষ হবে এবং চিটা ধান বন্ধ হবে। তাতে নতুন ধান হবে।'
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলায় তার পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী সভা বন্ধ করে দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় চার নেতার জনসভা করা হয়েছে বলে সেলিম ওসমান অভিযোগ করেন।
সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও উঠান বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা বাবলি, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়াজেদ আলী খোকন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি বাবু চন্দন শীল, জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী ড. শিরিন বেগম, সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শারমিন হাবীব বিন্নিসহ স্থানীয় দলীয় নেতৃবৃন্দ।
পরে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান শহরের জামতলায় সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী আয়োজিত উঠান বৈঠকে অংশ নেন এবং এলাকাবাসীর সাথে গণসংযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘উনারা সাগর থেকে এক লোনা পানি নিতে এখানে এসেছেন। পাঁচজন সংসদ সদস্য নিয়ে ফখরুল সাহেবরা এসেছেন, সেখানে কতোজন লোক হয়েছে সবাই দেখেছে। আমাদের কোন নেতা যদি আসতেন তাহলে তিল ধারণের জায়গা থাকতো না।
কারো ক্ষতি করে নির্বাচনী কাজ না করার আহবান জানিয়ে সেলিম ওসমান আগামী ৩০ ডিসেম্বর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করেন।