বড় জয় নিয়ে আবারো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
বড় জয় নিয়ে আবারো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধ্বস জয় পেয়েছে তারা। ফলে টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠনের সুযোগ থাকছে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রেকর্ড:
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়বেন। এর আগে তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনাও। এবার শেখ হাসিনার সুযোগ থাকছে চতুর্থ বারের মতো সরকার প্রধান হওয়ার।
১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩৪টি আসনে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বিএনপি। সেবার ৮৫টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় পার্টি পায় ৩৬টি আসন। অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পান বাকি ৩৬টি আসন। সেবার দুই প্রধান দলের ভোটের ব্যবধান খুবই কম ছিল। গৃহীত ভোটের ৩০.৮ শতাংশ পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি পেয়েছিল ৩০.৮১ শতাংশ।
১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। সেবার ভোট পড়েছিল মাত্র ২১ শতাংশ। ওই নির্বাচনে ৩০০ আসনেই জয়লাভ করে বিএনপি। পরে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ওই বছরই জুনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তম সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪০ আসনে জয়লাভ করে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সেবার বিএনপি পায় ১০৪টি আসন। আর ২৯টি আসনে জয়লাভ করে জাতীয় পার্টি।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮৯টি আসনে জয় পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট। সেবার আওয়ামী লীগ ৫৯ এবং জাতীয় পার্টি ১৪ এবং অন্যরা ২৮টি আসনে জয়লাভ করে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের ওই নির্বাচনে ২৩০টি আসনে জয় পায় তারা। অপরদিকে ভরাডুবি হয় বিএনপির। তারা জয় পায় ৩০টি আসনে। আর জাতীয় পার্টি পায় ২৭টি আসন। ২০১৪ সালের ১০ম সংসদ নির্বাচনে আরো বড় জয় নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। এবার তারা পায় ২৩৪টি আসন। অপরদিকে জাতীয় পার্টি পায় ৩৪ আসন। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ভোট বর্জন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। ফলে প্রথমবারের মতো সংসদে বিরোধীদল হিসেবে আবির্ভূত হয় জাতীয় পার্টি।
রোববার অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সরকারের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণই থাকছে। এবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তবে ভোটে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি তারা।