মোটেল ও গেস্ট হাউসে নেই কোনো আয়োজন পর্যটক শূন্য সৈকত শহর কক্সবাজার
প্রতিবছর পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করতে পর্যটকের ঢল নামে সৈকত শহর কক্সবাজারে। কিন্তু এবার নির্বাচনের কারণে বিধি-নিষেধ থাকায় পর্যটক শূন্য। চার শতাধিক হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউসে নেই কোনো ধরনের আয়োজন। তবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ায় নতুন বছরের শুরুতে পর্যটন ব্যবসা ভালো হবে আশা ব্যবসায়ীদের।
শীতের আমেজ সে সাথে সমুদ্র সৈকত আর বছরের শেষ সূর্যাস্তের পাশাপাশি আনন্দ, উল্লাস ও উৎসব। প্রকৃতি আর সময়ের এত আয়োজন একসাথে উপভোগের সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায়। তাই সবাই প্রতিবছর ছুটে আসে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজারে।
কিন্তু এবার নির্বাচনের কারণে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করতে কক্সবাজার সৈকতে দেখা নেই পর্যটকের। ফলে নেই কোনো ধরনের আয়োজন, আনন্দ, উল্লাস ও উৎসব। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, 'গাড়িঘোড়া চলতে পারছে না। কেউ নাই। কবে মানুষ হবে বা না হবে বলতে পারছি না।’
থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটক না আসলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ায় নতুন বছরের শুরুতে পর্যটন ব্যবসা ভালো বলে আশা করছেন হোটেল মালিক সমিতির এ নেতা। আবু তালেব শাহ (মুখপাত্র, হোটেল মালিক সমিতি) বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার কারণে আমরা নিশ্চিন্ত নতুন বছরের শুরু থেকে আমরা ভালো ব্যবসা করতে পারবো।’
আর জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিধি-নিষেধ থাকলেও পর্যটন এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এবিএম মাসুদ হোসেন (পুলিশ সুপার) বলেন, ‘হোটেল এলাকা থেকে শুরু করে যে সকল জায়গায় পর্যটক বেশি থাকে সেই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
হোটেল মালিক সমিতির দেয়া তথ্য মতে, পুরনো বছরের সমস্ত ভুলত্রুটি আর গ্লানি-শঙ্কা ধুয়ে মুছে বিদায় দিতে থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে গত বছর সাগর পাড়ে জড়ো হয়েছিল ৩ লাখের অধিক পর্যটক।