সরকারিভাবে ১ ডিসেম্বর থেকে চাল সংগ্রহ কর্মসূচি চালু হলেও তাতে ভাগ্য ফিরছে না কৃষকের।
প্রতি বছর তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক। এবার রাজশাহী জেলায় ৭৫ হাজার ১৬৬ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ বেড়েছে ৭ শতাংশ। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এতে পূরণ হয়েছে, জেলার ১ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন আমনের উৎপাদন। কিন্তু হাট-বাজারে আমনের দাম পায়নি কৃষক। তাদের প্রতি মণ আমন ধান বিক্রি করতে হয়েছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায়।
কৃষকরা জানান, ধান ওঠার পর ধান বিক্রি হয় কিন্তু সেই অনুযায়ী দাম পাওয়া যায় না। ধান যখন ওঠে তখন সরকার দামটা নির্ধারণ করে দিলে আমরা লাভবান হতাম।
আমনের স্বল্পমূল্যের এ সুযোগে কৃষকের অধিকাংশ ধান ঢুকেছে মজুতদারের ঘরে। ফলে আবারো ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে কৃষক।
তারা আরো বলেন, সরকার যেসময় ধানের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন তখন ধান ঘরে থাকে না, কম মূল্যে বিক্রি হয়ে যায়। তেল, সেচ, সার খরচ অনেক বেশি সে তুলনায় আমরা দাম পাই না।
এ বছর সরকারিভাবে রাজশাহী থেকে ৩৬ টাকা দরে আমন চাল কেনা হবে ৭ হাজার ৭৩৩ মেট্রিক টন। আর তার যোগান দিতে মিল মালিকরাও অধিক দরে ধান কিনছেন মজুতদারের কাছ থেকে।
রাজশাহীর মেসার্স দোলা চালমিলের মালিক মো. আফসার আলী বলেন, যখন ভাবা হয় ধানের দাম আরো বাড়বে তখন চালের সাথে ধানের দামের সমঝোতা থাকে না।
জেলার এ খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলছেন, কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে নির্ধারিত ধান-চালের দামে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না কৃষক।
রাজশাহীর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক ভুঁইয়া বলেন, ধানের উৎপাদন খরচ হিসাব করে ধানের দাম ধরা হয়। সেক্ষেত্রে কৃষকদের অভিযোগ সত্যি নয়। তারপরও যদি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে মিলারদের দৌরাত্ম্য থাকতে পারে।
চলতি বছর জেলায় সরকারিভাবে আমন চাল কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ২৩৮টি চাল মিল।