বাজেয়াপ্তের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এরপরেই আছে বিএনপি
এদিকে, বাজেয়াপ্তের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এরপরেই আছে বিএনপি এবং ৩য় অবস্থানে আছে জাতীয় পার্টি। যাদের মোট প্রার্থীর বেশিরভাগই জামানত হারিয়েছেন এই নির্বাচনে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের বিপরীতে বিভিন্ন দলের ১ হাজার ৮৫৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৯টি আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে আবারো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। পরাজিত প্রার্থীদের বেশিরভাগই হারিয়েছেন তাদের জামানত।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও আরপিও অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র কেনার সময় প্রতি প্রার্থীকে ২৫ হাজার টাকা জামানত রাখতে হয় নির্বাচন কমিশনে। জামানতের অর্থ ফেরত পেতে হলে নির্বাচনে মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পেতে হবে প্রার্থীকে। সে অনুসারে প্রায় দু'হাজার প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৪২২ জনই এবার হারিয়েছেন তাদের জামানত।
জামানত হারানোর তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ভোটের মাঠে নামা ২৯৭ জন প্রার্থীর ২৯৬ জনই জামানত ফেরত পাচ্ছেন না।
দ্বিতীয় অবস্থানে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলের ২৫৬ জন প্রার্থীর ১৫২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জয়ী হয়েছেন ৫ জন। জামানত হারানোর তালিকায় রয়েছেন ড. খন্দকার মোশাররফ, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গোলাম মওলা রনিসহ অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীও।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মহাজোটের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টি। যাদের ১৫৪ প্রার্থীর মধ্যে ১৩২ জনই হারিয়েছেন জামানত। তাদের ২২ প্রার্থী সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাচ্ছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়া ১৩০ প্রার্থীর ১১৬ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।