চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়ে পুরো পয়েন্ট নিয়েই যাত্রা শুরু করল মুশফিকের দল।
১০০তম টি-২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার রেকর্ড গড়ার দিনে ফলাফলটা পক্ষে পেলেন না ক্যারিশমেটিক লিডার মাশরাফি। হার দিয়েই যাত্রা শুরু করতে হল তাদের।
দেশের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে এবার ছিল না কোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। নির্বাচনের আমেজের মধ্যে শুরু হওয়া আসরের প্রথম ম্যাচে গ্যালারিও ছিল ফাঁকা। প্রথম ইনিংসে রংপুরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা চোখে পড়লেও দ্বিতীয় ইনিংসে আরো একটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে। আর তা হল- মিরপুরের উইকেট। এই টার্গেটেও বারবার খাবি খেতে হয়েছে ডেলপোর্ট, মুশফিক, মোসাদ্দেকদের। সবশেষ বিপিএলেও মিরপুরের উইকেট নিয়ে ছিল সমালোচনা।
শুরুতেই ক্যামেরন ডেলপোর্টকে ফিরিয়ে চিটাগংকে চাপে ফেলেন মাশরাফি। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলও ছিলেন ব্যর্থ। মাত্র ৩ রানে তাকে ফেরান শফিউল ইসলাম। তবে আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের ব্যাটে চাপ এড়ায়। যদিও শেহজাদ ফিরে যাওয়ার পর একপ্রান্ত থেকে একের পর এক সতীর্থের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখতে হয়েছে মুশিকে। ১৭তম ওভারে মুশফিক ফিরে যান ২৫ রানে। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল মাত্র ১৩ রান। আঠারোতম ওভারে সোহাগ গাজী দেন মাত্র ৩ রান। তবে উনিশতম ওভারে চাপটা অব্যাহত রাখতে পারেননি রংপুরের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চিটাগং। রুব্বি ফ্রাঙ্কলিন ১২ এবং সানজামুল ইসলাম অপরাজিত থাকেন ৭ রানে।
এরআগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। প্রথম ওভারেই চেপে ধরেন আবু জায়েদ রাহি। মেহেদী মারুফের ব্যাট বলই খুঁজে পাচ্ছিলো না। দ্বিতীয় ওভারে রুব্বি ফ্রাঙ্কলিন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন অ্যালেক্স হেলসকে। প্রথম বলেই ফিরে যান হেলস। ওই ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে মোহাম্মদ মিঠুনকেও ফেরান খালি হাতে।
শ্বাসরুদ্ধ প্রথম দুই ওভার কোনরকম পার করার পর তৃতীয় ওভারে রুশোর ব্যাটে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় রংপুর। তবে ওই ওভারেই রিলে রুশোকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দী করেন রাহি। ওপেনার মেহেদী মারুফও আর ধৈর্য ধরতে পারেননি। ১০ বল খেলে ১ রান করে ফ্রাঙ্কলিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
প্রথম ওভারে এসেই উইকেটের দেখা পান তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান। ৮ রানে বিনি হোওয়েলকে ফেরান তিনি। এরপর ফরহাদ রেজা (৩) এবং অধিনায়ক মাশরাফি (২) দ্রুতই ফিরে যান। ৩৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের লজ্জা উঁকি দিচ্ছিল রংপুরের সামনে। তবে শেষ দিকে সোহাগ গাজীর সঙ্গে জুটি সে লজ্জা থেকে দলকে বাঁচান রোবি বোপারা। সোহাগ গাজী ২১ রানে ফ্রাঙ্কলিনের চতুর্থ শিকারে পরিনত হন। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে শেষ ওভারে হার মানেন বোপারা। ৪৭ বলে ৪৪ রানের লড়াকু ইনিংস শেষ হয় রাহির বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ৯৮ রানে থামে রংপুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স ৯৮/১০ (২০) বোপারা ৪৪, সোহাগ গাজী ২১; ফ্রাঙ্কলিন ১৪/৪, নাঈম হাসান ১০/২, রাহি ৩০/২।
চিটাগং ভাইকিংস: ১০১/৭ (১৯.১) শেহজাদ ২৭, মুশফিক ২৫; মাশরাফি ২৪/২, শফিউল ১৯/১, অপু ১৭/১।
চিটাগং ভাইকিংস ৩ উইকেটে জয়ী।