সিলেটকে হারিয়ে শুরু কুমিল্লার
জয় দিয়ে আসর শুরু করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শেষ ওভারে মীমাংসিত ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সকে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেটে।
শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। মাত্র ৫ রানে ফেরেন ওপেনার এভিন লুইস। স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ করার আগেই ইমরুল কায়েসকে বোল্ড করেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফান। এরপর অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে পিচে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি স্মিথ। আল আমিনের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ১৬ রান। শোয়েব মালিক বেশ সাবলীল খেলছিলনেন। কিন্তু ১৩ রানে লামিচানের শর্ট ডেলিভারিতে তুলে মারতে গিয়ে সীমানায় সাব্বির রহমানের তালু-বন্দী হন তিনি।
মালিক ফিরে গেলে নতুন করে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এনামুল হক বিজয় (৫) ব্যর্থ হলে চাপটা আরো বাড়ে। টি-২০’র বড় বিজ্ঞাপন শহীদ আফ্রিদি মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই তার সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল।
৩৪ বলে ৩৫ রান করে তামিম ফিরে গেলে দায়িত্বটা এসে পড়ে আফ্রিদির কাঁধে। মোহাম্মদ সাইফুদ্দীনকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করেছেন আফ্রিদি। দলকে এনে দিয়েছেন ৪ উইকেটের জয়।
শেষ ওভার অবশ্য কিছুটা রোমাঞ্চকর ছিল। কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। অলক কাপালিরর প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে নন স্ট্রাইকে আসেন দ্বিতীয় বল ডট দেন সাইফুদ্দীন। পরের বলে এক রান নিয়ে আফ্রিদিকে স্ট্রাইকে দেন। আফ্রিদি চতুর্থ বল ডট দিলে সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ২ রান। তবে পঞ্চম বলটি একেবারেই লেগস্ট্যাম্পের বাইরে কনে কাপালি। আর ফলাফলটাও প্রত্যাশিতই। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এক বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে দলকে পৌঁছে দেন আফ্রিদি।
সাইফুদ্দীন ৫ রানে এবং আফ্রিদি অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে।