অধিকাংশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে গেল বছর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের সফলতাই এর মূল কারণ।
একদিকে নতুন ঘরানার একটি ব্যাংকের দেউলিয়াত্ব অন্যদিকে অর্থ সংকট, আমানত গ্রহণ ও ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে এক অংকের সুদ হার নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে টালবাহানা। সমালোচনায় ছিল সিআরআর কমানোর বিষয়েও। এসব নিয়ে ২০১৮ সালে নানামুখী আলোচনা সমালোচনা থাকলেও গত বছর সরকারি-বেসরকারি বেশিরভাগ ব্যাংকেরই পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। কারণ হিসেবে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, খেলাপি আদায় ও ব্যাংকিং সংস্কৃতির পরিবর্তন।
ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, আমরা অনেক বিনিয়োগ করতে পেরেছি, আমাদের কোনো ফান্ড পড়েছিল না। তাই গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল মাসুম বলেন, আগে ঋণ আদায়ে ম্যানেজাররা কাজ করতেন। সেই জায়গা থেকে এক একজনকে একটি করে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। তাতে ঋণ বেশি হবে।
ব্যাংকিং খাতের এই চমক, আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ইতিবাচক প্রভাব বলেও মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৩৪ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট এবং ৪৭ বিলিয়ন ডলার ইমপোর্ট হয়েছে। এখান থেকে তারা একটা লভ্যাংশ আর্ন করেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রভিসন ঘাটতি পূরণ ও কর পরিশোধের পর অনেকাংশে কমে আসবে লভ্যাংশের পরিমাণ।
ব্যাংকগুলোর তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালেও সর্বোচ্চ মুনাফা ধরে রেখেছে ইসলামী ব্যাংক, যার পরিমাণ ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা, এরপর রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের অর্জন ২ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় লভ্যাংশ কমেছে জনতা ও রূপালী ব্যাংকের।