তীরে এসেও জয় পেলো না খুলনা টাইটান্স খুলান-চিটাগং ম্যাচ টাই
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৯ রান। অনিয়মিত বোলার আরিফুল হকের হাতে বল তুলে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথম বল ডট। পরে বলে ছক্কা হাকান নাঈম হাসান। তৃতীয় বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান নাঈম। কন্তু ততক্ষণে স্ট্রাইক পেয়ে যান রুব্বি ফ্রঙ্কলিঙ্ক। পরপর দুই বলে ছক্কা হাকিয়ে স্কোর লেভেল করেন। শেষ বলে দরকার ছিল ১ রান। কিন্তু বল ব্যাটে লাগাতেই ব্যর্থ হন ফ্রাঙ্কলিঙ্ক। উইকেট কিপারও ভুল করেননি। রান আউট হয়ে যান ফ্রাঙ্কলিঙ্ক। ফালাফল ম্যাচ টাই। সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।
তীরে এসেও জয় পেলো না খুলনা টাইটান্স।
টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভারো হয়নি টিচাগংয়ের। দলীয় ১২ রানে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ শেহজা। ক্যামেরন ডেলপোর্টও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নেন ইয়াসির আলী। দলীয় ৮৩ রানে ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর ছন্দপতন হয় চিটাগংয়ের। এরপর দলীয় ১২১ রানে মুশফিক ফিরে গেলে চাপে পড়ে ভাইকিংসরা। যে চাপ সামলে আর দলকে জেতাতে পারেননি রুব্বি ফ্রাঙ্কলিঙ্ক এবং নাঈম হাসানরা।
এরআগে মিরপুরে টস জিতে মাহমুদুল্লাহকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। শুরুটা মন্দ হয়নি খুলনার। দলীয় ৩১ রানে ওপেনার পল স্টার্লিংকে ফেরান নাঈম হাসান। আবু জায়েদ রাহির হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে তিনি করেন ১৮ রান। এরপর জুনায়েদ সিদ্দিকীকে ফেরান রুব্বি ফ্রাঙ্কলিঙ্ক। দলীয় ৪১ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর জুটি বাঁধেন ডেভিড মালান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১৭তম ওভারে মালানের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভাঙে তাদের জুটি। মালান ৪৫ রান করেন। কার্লস ব্রাফেট পিচে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। মাত্র ৫ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। পরের বলেই ৩৩ রান করা মাহমুদুল্লাহকে ফেরান সানজামুল।
শেষ দুই ওভারে খুব একটা বিস্ফোরক হতে পারেননি নামজুল হোসেন শান্ত, আরিফুল হক, মহিদুল ইসলামরা। ৬ উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে খুলনা।
স্কোর:
খুলনা টাইটান্স: ১৫১/৬ (২০)
পল স্টার্লিং ১৮ (১০)
জুনায়েদ সিদ্দিকী ২০ (১৫)
ডেভিড মালান ৪৫ (৪৩)
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৩ (৩১)
কার্লস ব্রাফেট ১২ (৫)
নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ (৫)
আরিফুল হক ৯* (৮)
মাহিদুল ইসলাম ৪* (৪)