যথাযথ নির্দেশনা না দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে পাইলটকে একতরফাভাবে দায়ী করা হয়েছে
বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কার্যালয়ে রোববার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নেপালের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রতিবেদনে বিমানটির কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান বলেন, ‘কন্ট্রোলার আরো বেশি একটিভ হতে পারতো। কমান্ড নিয়ে পাইলটকে গাইড করতে পারতো। তারা যে তদন্ত করেছে তা ভুল নয়, তবে আমরা আরও কিছু বিষয় যোগ করেছি সেগুলো নিয়ে পর্যবেক্ষণ দেয়া উচিত ছিল কিন্তু তারা সেগুলো দেয়নি।’
তদন্ত কমিশনের সদস্য সালাউদ্দিন এম রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘বিমানের কোনো ত্রুটি ছিল না, পাইলটের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন নেই। তবে, গাফিলতি ছিল কন্ট্রোল টাওয়ারের।’
তিনি বলেন, ‘এটিসি সংক্রান্ত রিপোর্ট উনারা আমলে নেয়নি। আমাদের কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল, তারা কিছুটা মেনেছেন কিছুটা মানেননি।’
বাংলাদেশের সুপারিশগুলো অন্তর্ভুক্ত করা না হলে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থা-আইকাওতে যাওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় ৭১ জনের মধ্যে বিমান ক্রুসহ ৫১ জন যাত্রী প্রাণ হারান। ওই দুর্ঘটনার পর ধুম্রজাল সৃষ্টি হয় দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে। বাংলাদেশ ও নেপালের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আসে। এরপর এপ্রিলে প্রাথমিক প্রতিবেদনেও দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের ওপর দায় চাপায় নেপাল। যা প্রকাশিত হয় দেশটির একটি পত্রিকায়, যদিও সেসময় প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ।
দুর্ঘটনার প্রায় এক বছরের মাথায় চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনেও দায়ী করা হয়েছে পাইলটের ভুলকে। তবে, প্রতিবেদন নিয়ে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের অভিযোগ, ৫৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা সুপারিশ আমলে নেয়া হয়নি।