শ্রীলঙ্কায় মাদক পাচারে জড়িত বাংলাদেশি পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার
শ্রীলঙ্কায় জব্দ করা বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে RAB। মঙ্গলবার র্যািব হেডকোয়ার্টার্স থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
RAB বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ওই আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এ পাঁচজন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
গত ৩১ ডিসেম্বর কলম্বোর কাছে দেহিওয়ালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৭২ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেন উদ্ধার করে শ্রীলঙ্কার পুলিশ নারকোটিক ব্যুরো ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কায় জব্দ করা মাদকের সবচেয়ে বড় চালান এটি।
প্রায় তিন বিলিয়ন শিংহলি রুপি (১৫২ কোটি টাকা) দামের ওই মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দুই বাংলাদেশিকে ওইসময় গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বগুড়ার মোহাম্মদ জামালউদ্দিন ও জয়পুরহাটের দেওয়ান রফিউল ইসলাম।
তার দুই সপ্তাহ আগে একই এলাকা থেকে ৩২ কেজি হেরোইনসহ সূর্যমণি নামে আরেক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এই মাদক চোরাচালানের তদন্তে সে সময় শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এরপর তদন্তে নেমে ৫ জানুয়ারি উত্তরার এক বাড়ি থেকে চয়েজ রহমান নামে একজনকে আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
এছাড়া কলম্বো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে তিন নারীকে আটক করার খবর সে সময় সংবাদ মাধ্যমে আসে। ওই তিন নারী কলম্বোতে মাদকের চালানটি পৌঁছে দেয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।