সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার, ধর্ষক পলাতক
হেলাল উদ্দীন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
বাবা প্রতিবন্ধী। দুটি মেয়েও প্রতিবন্ধী। একটি মেয়ে সুস্থ থাকলেও তার স্বামীর দুই চোখ অন্ধ। এমনএকটি অসহায় পরিবারের এক প্রতিবন্ধী মেয়ের সর্বনাশ করেছে প্রতিবেশী চাচা পরিচয়ের ৫৭ বছর বয়সের এক লম্পট। আর এ ঘটনার পর মেয়েটি হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েছে।সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের হাওয়ালখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক আকরাম আলি , তার স্ত্রী মাসকুরা খাতুন এবং মেয়ে ফেরদেীসি ও মেয়ের জামাই রেজাউল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ তাদের খুঁজছে।
পুলিশ জানায়, হাওয়ালখালি গ্রামের প্রতিবন্ধী পরিবারের ওই তরুনিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ধর্ষন করে। টানা ছয়মাস যাবত পরিবারের সবার অগোচরে এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ধর্ষক আকরাম আলি বিষয়টি তার স্ত্রী মাসকুরাকে জানায়। পরে তারা অন্তঃস্বত্তা মেয়েটিকে নিয়ে যায় কলারোয়ার সিংহলাল গ্রামে মেয়ে ফেরদৌসির বাড়িতে। সেখানে রেখে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়।
এর পর মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এক সপ্তাহ আগে তাকে দ্রুত নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন।এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রধান আসামি আকরাম আলিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষনের শিকার প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা (রোকেয়া খাতুন) জানান তার মেয়ে এখনও অসুস্থ । তার চিকিৎসা চলছে। তিনি এই অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।