রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় 'অগ্নিপরীক্ষা'য় অবতীর্ণ হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
কোন কোন উপজেলায় ২০ জন নৌকা প্রতীকের দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের মুখোমুখি। নিজের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন যার যার মতো করে। কিন্তু তৃণমূলের সমর্থন পেতে বেশ কিছু উপজেলায় দলাদলি অতিক্রম করেছে শৃঙ্খলার সীমানা।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী একজন জানান, যদি জননেতী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দেন। তাহলে রংপুরের সদর উপজেলায় আবারও জয়ী হয়ে আসবো।
তবে একে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা বলে সান্ত্বনা খুঁজছেন স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করীম রাজু বলেন, ইউনিয়ন, থানা, জেলা লেভেলের নেতারা-তো দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। প্রার্থী হবেন, প্রত্যাশা করেন।'
ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর উপজেলা নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া সহজ হবে ভেবে সবাই দলীয় প্রতীকের পেছনে ছুটছেন বলছেন বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আকবর হোসেন বলেন, এখন জনগণের ভোটের দরকার পড়ে না। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়া থাকলে প্রশাসন ও দলবাজি করে ভোটে জেতা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, বর্তমান রাজনীতি এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে কে কাকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যেতে পারে এটার একটা প্রতিযোগিতা রয়েছে।
রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন ২০০ জন।
এর মধ্যে পঞ্চগড়ে ২৮ জন, ঠাকুরগাঁয় ৩৩ জন, দিনাজপুরে ৫৮জন, নীলফামারীতে ২৩ জন, লালমনিরহাটে ১৬ জন, কুড়িগ্রামে ২০ জন এবং গাইবান্ধায় ২২ জন।