নির্বাচনের আগে ও পরে জোরালো আন্দোলন কর্মসূচি না দেয়ায় ক্ষুব্ধ ধানের শীষের প্রার্থীরা।
নির্বাচনের আগে ও পরে জোরালো আন্দোলন কর্মসূচি না দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ধানের শীষের প্রার্থীরা। রাজধানীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিতে অংশ নিয়ে নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরার পাশাপাশি নিজেদের রাজনৈতিক কৌশলগত ভুল শনাক্তেরও দাবি জানান তারা। এতে যোগ দিয়ে শীর্ষ নেতারা বলেন, নির্বাচনের নামে দেশে প্রহসন করেছে সরকার।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তুলে ধরতে শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত গণশুনানিতে যোগ দেন সারাদেশের ধানের শীর্ষের প্রার্থী ও কিছু ভোটার।
সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রধান হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন। শুনানি শুরুর আগে চকবাজারে মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের পাশাপাশি শোক প্রস্তাব করা হয়।
এরপর একে একে বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা ভোট নিয়ে নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা বলেন, নির্বাচনের যে ফলাফল দেওয়া হয়েছে তা ঠিক না। সময়মতো আন্দোলন কর্মসূচি দিতে না পারায় নেতৃত্বের সমালোচনাও করেন প্রার্থীরা।
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উদ্দেশ্যই ছিল ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় যাওয়া, সেটাই তারা করেছে। এই নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি, ফলাফল বাতিল করতে বলেছি।
গণফোরামের শীর্ষ নেতা ড. কামাল বলেন, এটাকে নির্বাচন বলা যায় না, এটা একটা অনুষ্ঠান যেখানে সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে। দেশের নাগরিকের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
বিচার করা নয়, অনিয়মের অভিযোগ রেকর্ড করাই এই গণশুনানির প্রধান উদ্দেশ্য বলেও জানান ড. কামাল হোসেন।