প্রেমের টানে মার্কিন নারী চুয়াডাঙ্গায় । মুসলিম হয়ে বিয়ে করলেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি
প্রেম জাতি কুলের ধার ধারেনা তা আবার প্রমান হলো। প্রেমের কারনে তৈরী হয়েছে অনেক ইতিহাস। তারই প্রমান স্বরুপ এক মার্কিন নাগরিক বাংলাদেশী এক যুবকের প্রেমে পড়ে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে। পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতধর রাষ্ট্র আমেরিকা।সে দেশের এক মধ্যবয়সী নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের সাহায্যে বাংলাদেশী অজানা যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রতিদিন ফোনালাপে তাদের প্রেমের সম্পর্ক আরো গভীর থেকে গভীর হয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা শহরের বনানী পাড়ার সোনালী ব্যাংক কর্মচারী শাহাবুল হোসেনের ছেলে ফয়সাল (২৮)মোবাইল প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমেরিকার ডংসন (৫৫)
নামের এক মধ্যবয়সী নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
প্রথমে ছেলেটি বিশ্বাসই করতে পারেনি যে সে প্রেমের প্রমান রাখতে বাংলাদেশে আসবে তারই নিজ বাড়ির বধু হবার জন্য। কিন্তু তা সত্যে পরিনত হলো।
এ যেন চুয়াডাঙ্গার যুবকের কাছে সাক্ষাৎ আমেরিকা জয়। ফয়সাল গত ১৩ এপ্রিল আমেরিকা থেকে আসা ওই নারীর সাথে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে নোটারী পাবলিকের মুসলমান হয়ে নাম পরিবর্তন করে এবং ১০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া বিয়েও করেন। তবে বিয়ের পর থেকে তাদের আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য স্থানীয় সাংবাদিকরা ছুটে গেলে বাড়িতে তাদের দেখা মেলেনি।
এ বিষয়ে আরো জানা গেছে প্রেমিক ফয়সালের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
পরিবারের লোকজনও কোনরকম খোঁজখবর দিতে চাচ্ছে না। তারা এ বিষয়টিকে গোপন রাখতে চাই। তবে এলাকাবাসী জানান ফয়সাল হয়তো আমেরিকা যাওয়ার জন্য এ মধ্যবয়সী নারীকে বিয়ে করেছে।
এবং তাকে এলাকায় গত কয়েকদিন যাবৎ দেখাও যায়নি বলে জানান।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের নোটারী পাবলিকের এ্যাড. এস এন এ হাশেমী এবিষয়টির সতত্যা স্বীকার করেন। যে মধ্য বয়সী এক মার্কিন নাগরিকের সাথে ওই যুবকের বিয়ে হয়েছে।
তবে তিনি জানান তারা বিয়ে আমার কাছে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ডিক্লিয়ারেশন দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিবাহ সংশ্লিষ্ট ১ নং আলোকদিয়া ইউনিয়নের কাজী হাশেম আলী জানান গত ১৩ এপ্রিল শনিবার বিবাহ রেজিস্টারে তার ঠিকানা উল্লেখ করেন ফয়সাল চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ পড়ার শাহাবুলের ছেলে। সে ৫৫ বছর বয়সী এক মার্কিন নাগরিক ডংসনের নাম
এফিডেফিটের মাধ্যমে পরিবর্তন করে মরিয়ম খাতুন নামে ১০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ করে। তবে তিনি ওই মার্কিন নাগরিক ডংসনের সাথে কথা জানতে পারেন তিনি খুব শ্রীঘ্রই আবার
দেশে ফিরে যাবেন।
এবিষয়ে ফয়সালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি কোন ফোন রিসিভ করেনি।