বেনাপোলে ঘোষনা বহিঃর্ভুত পন্য আমদানি কাভার্ডভ্যান সহ আটক
শহিদুল ইসলাম ,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি।
যশোরে র বেনাপোল স্থল বন্দরে ৫শ কেজি ফ্লেভার আমদানির ঘোষনা দিয়ে লাখ লাখ টাকার অন্যান্য পন্যের একটি চালান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস।
গতকাল মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে এই মাল পাচারের সময় কাস্টমস হাউস এর ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ মালবাহী কাভার্ডভ্যানটি আটক করেন।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকারক ঢাকার এমএস রেডগ্রীন ইন্টারন্যাশনাল ভারত থেকে ৫০০ কেজি ফ্লেভার আমদানি করেন। যা ইনভয়েজ ও প্যাকিংলিষ্ট অনুয়ায়ী ২৫টি প্লাস্টিকের জার। প্রতিটি জারের ওজন ২০ কেজি। পন্যের বি/ই নং সি ২৫৫৭৭, তাং ১৩/০৪/১৯। পন্যটি স্থল বন্দরের ১২ নং শেডে রক্ষিত ছিল।
আমদানিকারকের পক্ষে বেনাপোলের সি এন্ড এফ এজেন্ট আহাদ ইন্টারপ্রাইজ পন্যটি শুল্কায়নের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। অতঃপর ২৪ এপ্রিল বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার গোপন সংবাদ পেয়ে তার নির্দেশে স্থল বন্দর থেকে বের হওয়ার পর রাস্তা থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের এর ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন আনস্টাফিং এর একটি প্রতিনিধি দল মালবাহী একটি কাভার্ডভ্যান আটক করেন এবং কাস্টমস হাউসে নিয়ে আসেন। যার নং ঢাকা মেট্রো ট-১৩-৬৫৪১।
পরদিন বেনাপোল কাস্টসম হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আটক পন্য চালানটি পূর্ণ পরীক্ষন করেন। এ সময় আমদানিকৃত পন্যের ঘোষনা অনুযায়ী ৫০০ কেজি ফ্লেভারের সাথে গাড়ীতে অতিরিক্ত ৬৫টি কার্টুনে সিরিঞ্জ ১ লক্ষ ৯৪ হাজার পিস,দামী শাড়ী ৩০৩ পিস, ওড়না ১৪ পিস, কামিজ ১০ পিস, স্যালোয়ার ৯ পিস, থ্রী-পিস ৩৮ পিস, টি-শার্ট ১৭৯পিস, প্যান্ট ১২২পিস, পাউডার ২০০ কেজি পন্য ঘোষনার অতিরিক্ত পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে মেসার্স আহাদ এন্টার প্রাইজ এর প্রতিনিধি শহীদুল্লাহ জানান, ফ্লেভারের সাথে আটক অন্য পন্য আমাদের না। তারা অন্য পন্যেন ব্যাপারে কিছুই জানেননা বলেও জানান।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস হাউস এর ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মালবাহী কাভার্ডভ্যান আটকের সত্যতা সঠিক বলে জানান। তিনি বলেন এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে । ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে সনাক্ত করনের কাজ সম্পন্ন হলে আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।