সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কাপাসিয়ার শাহ মুহম্মদ আসাদুল্লাহ
আসাদুল্লাহ মাসুম,কাপাসিয়া
মেঘ কন্যা উপন্যাস লোখার জন্য লেখা প্রকাশের সাহিত্য পুরষ্কার পেলেন কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের শিক্ষক ও লেখক শাহ মুহম্মদ আসাদুল্লাহ। ২৬ এপ্রিল শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে আনন্দমুখর অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে ১২টি সাহিত্যে পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় ।
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুকের ‘আত্মজৈবনিক গ্রন্থের’প্রকাশনা ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির সভাপতি ড. সফিউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা (আই.জি.পি মর্যাদায়) মুহ. আবদুল হাননান খান পিপিএম ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন লেখা প্রকাশ ও সাপ্তাহিক বিপ্লব বার্তার প্রকাশক বিপ্লব ফারুক।
লেখাপ্রকাশ দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত ১২টি বিষয়ে সাহিত্য পুরষ্কার দিয়ে আসছে।
এ বছর সাহিত্যে পুরস্কার প্রাপ্তরা কবিতায় ফকির আশরাফ, একতেদার সিদ্দিকী, সৈয়দ মনির,জাকিয়া পারভীন, গোলশান নাছরিন চৌধুরি, মুনকারা প্রভা, আকবর আলী, ফকির সালাম, আব্দুল হালিম, মনসুর মুন, উপনাসে শাহদাত হোসেন, শাহ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ, ফিরোজ আল আজাদ, উনাইসা তিজান খান ও আইয়ুব মোহাম্মদ খান, গল্পে আশরাফুল ইসলাম, ছড়ায় শেখ সালাহ উদ্দিন, কিশোর সাহিত্যে শাহনা আফরোজ, প্রবন্ধে ড. মুহম্মদ জমির হোসেন, গবেষনা প্রবন্ধে অ্যাড. আল রুহি ও শেখ আব্দুস সালাম, জীবনি গ্রন্থে ফজলুর রহমান খান ফারুক, সম্পাদনা গন্থে সঞ্জিব কুমার রায়, কলামে দেবাশীষ দেব, অনুবাদে বিদ্যুৎ খোশনবিশ প্রচ্ছদে সামিয়া আহমেদ, প্রকাশনায় মনন প্রকাশ।
ওই অনুষ্ঠানে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন নজরুল সেনা প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল হক খান ফরিদ (সাথীভাই), গীতিকবি সাখাওয়াৎ শাওন, জবি শিক্ষক ড. মিল্টন বিশ্বাস, ঢাবি শিক্ষক ড. শাকির সবুর, ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা, মওলানা ভাসানি ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বলেন সবাইকে নিয়ে মিলে মিশে থাকাটাই চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধ যা আজো পারিনি। স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মূল্যায়ন করতে হবে। লেখার স্বাধীনতায় শত্রুদের চিহ্নিত করে দিতে হবে। কারণ লেখক ও কবিদের যথেষ্ঠ দায়বদ্ধতা রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. সফিউদ্দিন আহমদ বলেন, সকল বিপ্লব লেখক কবিদেরই করতে হবে। লোভ কবিদের ছুইঁতে পারেনা। যে দেশে আছে শহীদ মিনার, সে দেশের মানুষ মাথা নুয়াবার নয়।