ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পর থেকেই স্থবির শ্রীলঙ্কা- ধস নেমেছে শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাতে
ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পর থেকেই স্থবির শ্রীলঙ্কা। গির্জার পাশাপাশি ওই দিন হামলা চালানো হয় তিনটি পাচঁতারকা হোটেলেও। এ ঘটনায় স্থানীয়দের পাশাপাশি নিহত হন বেশ কয়েকজন বিদেশী পর্যটক। এরপরই নাগরিকদের দেশটি ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে বেশ কয়েকটি দেশ। এর প্রভাব পড়ছে 'গ্রীষ্মমণ্ডলীয় স্বর্গ' হিসেবে পরিচিত দ্বীপটির পর্যটন শিল্পে। যা অনিশ্চিয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে ব্যবসায়ীদের।
শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দেশটি সারা পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে গ্রীষ্মকালীন ভূ-স্বর্গ নামেও পরিচিত।
এমন সুন্দর দেশটিতে গেলো ২১ এপ্রিল নারকীয় হামলা চালানো হয় একাধিক গির্জা ও তিনটি পাঁচ তারকা হোটেল। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি হতাহত হন বিদেশী নাগরিকও।
ভয়াবহ এ হামলার প্রভাব পড়েছে দেশটির পর্যটন শিল্পে। সারাবছরই দেশটিতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও হামলার পরপরই দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরার পাশাপাশি নতুন করে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে বেশ কয়েকটি দেশ।
এ হামলার জেরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরাও দেশটিতে থাকা আর নিরাপদ মনে করছেন না। এক পর্যটক বলেন, যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। আমি প্রতিবছর এখানে আসি। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই মনে হচ্ছে যেকোনো সময় একটা অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটবে।
আরেক জন বলেন, দেশটিতে অনেকবার এসেছি। এমনকি বছরে ৫/৬ বারও। এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে ভাবি নি। তবে, আশা করি সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবে।
পর্যটক কমে যাওয়ায় ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে শিল্পটি ঘিরে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও।
এক ব্যবসায়ী বলেন, হামলার কারণে আমাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে। পর্যটক কমে গেছে। বুঝতে পারছি না কবে আবার সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
আরেক জন বলেন, সত্যিই একটা খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। ভয়াবহ ওই ঘটনার পর দেশের অবস্থাও ভালো না। বিদেশী পর্যটকরা তো আসছেই না, এমনকি স্থানীয়রাও ভয় পাচ্ছে।
দেশটির পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গতবছর শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ করেন ২৩ লাখ পর্যটক। ২০১৮ সালে শিল্পটি থেকে তাদের আয় হয়েছে প্রায় চারশো ৪০ কোটি মার্কিন ডলার।