নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে নাজমুন নাহার ঝুমুর নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। শনিবার বিকালে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। স্কুল ছাত্রী নাজমুন নাহার ঝুমুর (১১) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নিহত ঝুমুর ওই ইউনিয়নের তালতলী এলাকার আব্দুল হানিফের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ব্যাপক ঝড়ে বাড়ির আশপাশে প্রচুর আম পড়ে। শনিবার সকাল ৬টার দিকে দুই মামাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঝুমুর বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যায়। কিছুক্ষণ পর দুই মামাতো বোনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে ঝুমুর থেকে যায়। বেশ কিছু সময় ধরে ঝুমুর বাড়িতে আসছিল না। এক পর্যায়ে সকাল ৮টা কি সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবেশি এক চাচি বাড়ির পাশের খাল পাড়ে ভেঙে পড়া গাছের ঢাল তুলে আনতে গিয়ে ঝুমুরকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়।
পরে বাড়ির লোকজন গিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ঝুমুরকে পানি থেকে তুলে নিয়ে আসে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খবর দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্য এসে তার মরদেহ দেখে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিকালে জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে তার মরদেহ দেখে সন্দ্বেহ হয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ এর ২ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন। শনিবার ( ৪ মে ) রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।