এ বছর শূন্য শতাংশ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৭টি, গতবছর যা ছিলো ১০৯টি।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল ১১ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে বোর্ড চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
এবার মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় ১০৭ প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছে। আর শতভাগ পাস করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৩টি। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ঘোষিত ফলাফল থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর শূন্য শতাংশ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৭টি, গতবছর যা ছিলো ১০৯টি। কমেছে ২টি।
এ বছর ঢাকায় ১৪৬, রাজশাহীতে ৪৩১, কুমিল্লায় ১৩২, যশোরে ২৭৫, চট্টগ্রামে ৩০, বরিশালে ৫০, সিলেটে ২২, দিনাজপুরে ১৩৮, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ১ হাজার ২৬৩ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৯৬ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, এবার এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৮২ হাজার ২২৪ জন ছাত্রী।
তিনি জানান, এ বছর গড় পাশের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ ও কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে, তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দশ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৫ জন।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ ছাত্র।