সৎ বাবা ও প্রতিবেশীর লালসায় ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের কিশোরী
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে সৎ বাবার লালসার শিকার হয়ে গর্ভধারণ করলো মেয়ে অতঃপর কৌশলে গর্ভপাতের পর পূনরায় গর্ভধারণ। এলাকায় সবার মুখে মুখে আলোচানা, সমালোচানা ও নিন্দার ঝড়ে তোলপাড়।
পুনরায় গর্ভধারণ করলে ১৫ বছরের কিশোরের কাঁধে দায় চাপাতে গিয়ে মেয়ের স্বীকারোক্তিতে ওসি'র বিচক্ষণতায় ফেঁসে গেলো সৎ বাবা।
এ ঘটনায় থানায় দু'টি মামলা দায়েরসহঅভিযুক্তদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী ও মামলা সুত্রে প্রকাশ,গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৮ নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী ওরফে চেংটু(৪৮) গত ২০১৮ সালের প্রথম দিকে শিউলী নামের এক মহিলাকে ২য় বিয়ে (নিকাহ) করে।
সদ্য বিবাহিত শিউলী বেগমের পূর্বের স্বামীর ঘরের ১৫ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান ছিলো। শিউলী ও চেংটু উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে,শিউলীর পূর্বের স্বামীর ঘরে জন্ম নেয়া ১৫ বছর বয়সের মেয়েকে নিয়ে সদ্য বিয়ে করা স্বামী চেংটু মিয়ার বাড়ি টিয়াগাছা গ্রামে বসবাস করতে থাকে। এই সুযোগে লম্পট চেংটু মেম্বার (সৎ বাবা) তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর ঘরে জন্ম নেওয়া ১৫ বছর বয়সী মেয়ের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে।
মেয়েটি সৎ বাবার লালসার শিকার হয়ে দিনেরপর দিন হুমকি ধামকীর মুখে ধর্ষিত হতে থাকে। এতে করে মেয়েটি ২ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। প্রায় তিন মাস আগে লম্পট চেংটু সুকৌশলে বিভিন্ন কবিরাজ ও চিকিৎসকের সহোযোগিতায় গাছ-গাছান্তসহ বিভিন্ন ঔষধ খাইয়ে মেয়েটির গর্ভাপাত ঘটায়।
এরপরে মেয়েটির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে দক্ষিণ সনতলা গ্রামের আবুল হোসনের ছেলে লম্পট মাসুদ মিয়ার(১৬)। সে ইদ্রিস আলী চেংটু মেম্বার ও দুজনে মেয়েটিকে ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন প্রলোভন,ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে মেয়েটির সাথে দিনের পরে দিন দৈহিক মেলামেশায় মিলিত হয়। এতে করে চেংটু ও মাসুদ দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি পুনরায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য চেংটু মেম্বার নিজের অপরাধের কথা গোপন করে গত ০৩/০৫/১৯ ইং তারিখে মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে সাদুল্লাপুর থানায় মাছুদকে আসামী করে মামলা দায়ের করতে যায়।
এ সময় সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ভিকটিমের সাথে কথপোকথনকালে বেড়িয়ে আসে এসব নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেয়েটি নিজের সাথে ঘটে যাওয়া সকল সত্য ঘটনা অকপটে স্বীকার করে ওসি'র কাছে ।
এতে করে সৎ মেয়েকে নিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ করতে এসে ফেঁসে যায় (সৎ বাবা) ইদ্রিস আলী চেংটু মেম্বারসহ অপর লম্পট ধর্ষণকারী মাসুদ মিয়া।
এ ব্যাপারে একই দিনে সাদুল্লাপুর থানায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে।
সৎ বাবাকে আসামী করে যে মামলা দায়ের করা হয় তা হলো মামলা নং ১, তাং ০৩/০৫/১৯,ধারা ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(১) তথ্য সহ ৩১৩।
অপর ধর্ষনকারী মাছুদকে আসামী করে যে মামলা করা হয়, তা হলো মামলা নং ২, তাং ০৩/০৫/১৯,ধারা ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(১)।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি আরশেদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মেয়েটি স্বীকার করেছে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সৎ বাবা চেংটু ও মাছুদ জড়িত । তাই তাদের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক পৃথক দু'টি মামলা দায়ের করে তাদেরকে আটকপূর্বক জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ।