বিশ্বকাপে তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করতে চান সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপে তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করতে চান সাকিব আল হাসান। আইসিসি'কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আবারো ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছেও পছন্দনীয় পজিশনে ব্যাটিংয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সাকিব।
বোলার সাকিব অতি কৃপণ। তার ওডিআই ইকোনমি মাত্র ৪.৪৩। ১৯৬ ওয়ানডেতে ২৪৮ উইকেটের ঈর্ষণীয় পরিসংখ্যান সাকিবের। বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণের প্রাণ তিনিই।
ব্যাটসম্যান সাকিবও সফল। ওয়ানডেতে ৭ সেঞ্চুরিতে ৫৬৩৮ রান তার। আয়ারল্যান্ডে আর মাত্র ২ উইকেট পেলেই রাজ্জাক, আফ্রিদি ও ক্যালিসদের পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম ম্যাচে আড়াইশ' উইকেট ও ৫ হাজার রানের রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে সামনে। কিন্তু, ব্যাটিং সামর্থ্য বলে, এই রান তার নামের পাশে যথেষ্ট নয়। সাকিব নিজেও যে তৃপ্ত নন, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন কখনো কখনো। তবে, এর পেছনে ব্যাটিং অর্ডারে সাকিবের পজিশনের দায়টাও অস্বীকার করা যায় না।
একটা পরিসংখ্যানে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক। এখন পর্যন্ত ১৩টি ওডিআই'তে ওয়ান ডাউনে ব্যাটিং করে, ৪১ গড়ে ৪৯২ রান করেছেন সাকিব। অন্যদিকে, তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের গড় ৩৫.৪৫। পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট, তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সাকিব। আইসিসি'কে দেয়া সাক্ষাতকারে তা স্বীকার করেছেন অকপটেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেন, একটা সময় ছিলো, যখন ৫ নম্বরে নামলেও হয়তো প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই ক্রিজে আসতে হতো। কিন্তু, এখন চিত্র অন্যরকম। ৫ নম্বরে ব্যাটিং করলে, এখন ৩৫-৪০ ওভারের আগে নামার সুযোগ হয়না। ৩ নম্বরে নামলে একটু বেশি সময় নিয়ে ব্যাটিং করা যায়। কোচ ও অধিনায়কের কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। তবে দলের প্রয়োজনে যেকোনো পজিশনে খেলতে আমার আপত্তি নেই।
আয়ারল্যান্ডে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচেও ওয়ান ডাউনে ব্যাট করে সফল হয়েছেন তিনি। অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে, ম্যাচ জিতিয়েই ফিরেছেন সাকিব। বিশ্বকাপেও অব্যাহত থাকুক সুপার সাকিবের উইলোবাজি, সেটাই চাওয়া থাকবে ভক্তদের।
দৃঢ়প্রতিজ্ঞা টাইগার অলরাউন্ডারও। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফিটনেস নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। সমর্থকদের প্রত্যাশার জবাব দিতে যে ফিট থাকতে হবে শতভাগ, সাকিবের সেটা ভালোই জানা।