বিশ্বকাপে থাকছে সুপার ওভার
২০১১ বিশ্বকাপের মতো ২০১৯ বিশ্বকাপেও থাকছে সুপার ওভার। বিশ্বকাপের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নিয়ম জানিয়েছে আইসিসি। যার মধ্যে আছে এই সুপার ওভারের বিষয়টি।
মূলত, লিগপর্বে সুপার ওভারের দরকার পড়ছে না। এখানে কোনো ম্যাচ টাই হলে পয়েন্ট ভাগা হবে। আর নক আউট পর্বে ম্যাচ টাই হলে ফলাফল নির্ধারণের জন্য সুপার ওভারে মুখোমুখি হতে হবে দল দু'টিকে।
এছাড়া বৃষ্টি কিংবা অনিবার্য কারণে খেলা বন্ধ হয়ে গেলেও থাকছে রিজার্ভ ডে’র ব্যবস্থা।
২০০৭ সালে প্রথম সুপার ওভার আসে ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই দলের রান সমান হয়ে গেলে প্রথম উদ্ভব হয় এ সিস্টেম। ২০১১ বিশ্বকাপের নক আউট পর্ব দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটেও জায়গা করে নেয় সুপার ওভার। পরবর্তীতে ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ম্যাচ টাই হওয়া সাপেক্ষে রাখা হয় সুপার ওভারের নিয়ম। তবে দুই দলের রান ওসব ম্যাচে সমান না হওয়ার কারণে প্রয়োজন পড়েনি সুপার ওভারের।
গতবার শুধু ফাইনালের জন্যই সুপার ওভার বরাদ্দ থাকলেও এবার ২০১১ বিশ্বকাপের মত নক আউট পর্বে অর্থাৎ দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য থাকছে এ নিয়মটি। সুপার ওভার ছাড়া বিশ্বকাপকে জমিয়ে তুলতে আইসিসি রাখছে আরও কিছু নিয়ম কানুন।
সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে’র ব্যবস্থা। বৃষ্টি কিংবা বৈরি আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত দিনে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পরের দিন। তবে রিজার্ভ ডে’তে ম্যাচ আয়োজন ঝামেলা বলে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে নির্ধারিত দিনেই কার্টেল ওভারে গিয়ে হলেও ম্যাচ শেষ করে দেওয়া। একেবারেই ব্যর্থ হলে ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডে’তে।
সেমিফাইনাল, ফাইনালে কোন ম্যাচ মাঝপথে বৃষ্টি কিংবা বৈরি আবহাওয়ার কারণে থেমে গেলে রিজার্ভ ডে’তে ঠিক ওখান থেকেই শুরু হবে ম্যাচটি। সুপার ওভারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম থাকবে। টাই হয়ে যাওয়া ম্যাচের সুপার ওভার কোনো কারণে সম্পন্ন করা না গেলে রিজার্ভ ডে’তে অনুষ্ঠিত হবে ফলাফল নির্ধারণী সুপার ওভার।