সুদিন ফিরেছে সিলেটের পর্যটন খাতে-আবারও সিলেটমুখী পর্যটকরা
সিলেটের প্রতি পর্যটকদের টান সেই মধ্যযুগ থেকেই। বিশ্ব পর্যটক ইবনে বতুতাও সিলেটের সৌন্দর্য দর্শনে বাদ যাননি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটকে ‘সুন্দরী শ্রীভূমি’ অভিহিত করে তাঁর কবিতায় লিখেন ‘মমতাবিহীন কালস্রোতে, বাংলার রাষ্ট্রসীমা থেকে, নির্বাসিতা তুমি, সুন্দরী শ্রীভূমি’।
এই সুন্দরী শ্রীভূমির রূপসৌন্দর্য্য আকৃষ্ট হয়ে এবার ঈদের ছুটিতে ঢল নামে লাখো পর্যটকের। জাফলং, বিছনাকান্দি কিংবা চা-বাগান, ফাঁকা ছিল না কোথাও। ছুটি বাড়িয়ে এখনো অনেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দর্শনীয় স্থান। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভিড় করছেন সিলেটে।
আশানুরূপ পর্যটক আসায় এবার ভালো হয়েছে হোটেল ব্যবসা। অনেকে হোটেলে সিট না পেয়ে গাড়িতে রাত্রি যাপন করেছেন বলে জানান হোটেল ব্যবসায়ী খন্দকার সিপার আহমদ।
তিনি বলেন, পর্যটন স্পটগুলোতে যাওয়ার উন্নত রাস্তাঘাট থাকায় সিলেটের হোটেল ব্যবসায়ীরা ভালো ব্যবসা করেছি। গত কয়েকদিনে চার থেকে পাঁচ লাখ পর্যটকের আনাগোনা হয়েছে।
তবে লাক্কাতুরা ও মালনীছড়া চা-বাগানে গিয়ে হয়রানীতে পড়তে হয় দর্শনার্থীদের। বাগানে ঢুকার বিনিময়ে অবৈধপন্থায় টাকা আদায় করেছে চা-শ্রমিকরা। আর বিছনাকান্দির নৌকার মাঝিদের হয়রানিতো আছেই।
ঈদের ছুটিতে সিলেটের মতো মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ সবগুলো উপজেলার দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
অবকাঠামোর উন্নয়নের কারণে বিদেশমুখী পর্যটক আবারো ফিরেছেন সিলেটে। তাদেরকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে পর্যটক কেন্দ্রের সৌন্দর্য বাড়ানোর দাবী সংশ্লিষ্টদের। আর তাতেই প্রসারিত হবে দেশের পর্যটন শিল্প।