ধর্ষণের মামলা না নিয়ে থানায় আটকে রেখে উল্টো এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে
মাদারীপুরের কালকিনিতে ধর্ষণের মামলা না নিয়ে থানায় আটকে রেখে উল্টো ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
স্বজনরা জানান, মাদারীপুরের কালকিনির লক্ষ্মীপুরের রাজীব খানের সাথে প্রায় ১ বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই শিক্ষার্থীর। রোববার( ৯ মে) রাতে মোবাইলে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় রাজীব। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে নির্জন একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সে।
স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে রাজীব ও ওই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে সোমবার( ১১ মে) সকাল ৮টার দিকে কালকিনি থানায় হস্তান্তর করে। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালায়।
নির্যাতিতার পরিবার এতে রাজি না হলে তাদের বেতের লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন ওসি মোফাজ্জেল, অভিযোগ পরিবারের। এরপর সোমবার( ১১ মে) বিকেলে ৪টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হলে ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের দুই সদস্য চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। নির্যাতিতা মেয়েটি জানায়, ওসি আমার থেক সব সত্য ঘটনা জানার পর আমাকে মারে।
এদিকে নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজীব ও পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসী।
মাদারীপুর সদর হাসাপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, 'আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এখন অবস্থা মোটামুটি ভালো।' বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার।
এর আগে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর থানায় দায়িত্ব পালনের সময় নানা অভিযোগে মোফাজ্জেল হোসেনকে একাধিকবার ক্লোজড করা হয়।