৭২ ঘণ্টার মধ্যে মানহীন ২২টি পণ্য বাজার থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৬ জুন) আদালতে ৫২টি মানহীন পণ্যের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার রিপোর্ট উপস্থাপন করে বিএসটিআই।
এসময় সংস্থাটিকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, পণ্যের মান পরীক্ষায় মোটা অংকের লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা মিললে জেলে পাঠানো হবে। এছাড়া পণ্য না সরানোয় আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করলে তিনি দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
১২ মে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এক আদেশে রুল দিয়ে বিএসটিআই ঘোষিত নিম্নমানের ৫২টি পণ্য অবিলম্বে বাজার থেকে সরাতে এবং জব্দ করতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসটিআই ঘোষিত নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে না সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক। এ সময় তিনি আদালতের আদেশ পালন না করায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে অব্যাহতি দেন।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বলেন, কোনো বিশেষ মাস বা উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে নয়, পুরো বছর জুড়েই মানহীন পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে হবে।
আদালত আরও বলেছেন, পণ্যের মান পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের অভিযোগ এসেছে বিএসটিআই এর বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা মিললে সরাসরি জেলে পাঠানো হবে বলেও সংস্থাটিকে হুঁশিয়ার করা হয়।
একই সঙ্গে আগামী ১৯ আগস্ট এ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়।