নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক ভোট গ্রহণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী সদরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে ভোটারদের সচেতন রবিবার সারাদিন উপজেলার ১৩১টি প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ক্যাম্পেইন করে পরীক্ষামূলক ভোট গ্রহণ করে উপজেলা নির্বাচন অফিস। তবে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। পঞ্চম ও শেষ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৮ জুন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
ইভিএম পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক ভোট দিতে আসা ভোটাররা জানান, ইভিএম এ কোনো প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই ভোট দেয়া সহজ এবং সহজে ভোট দিতে পেরে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। এতে প্রত্যেক ভোটার নিজের ভোট নিজেই দিতে পারবে। জাল ভোট দেয়ার কোনো প্রকার সুযোগ নেই।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল বলেন, ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভোটার কেন্দ্রে এসে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাবেন। সেটি দেখার পর পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ভোটারের তথ্য বের করা হবে। তথ্য মিলে গেলে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হবে। ছাপ নেয়া হলে ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে ইভিএমের ডিসপ্লে পর্দা দেখতে পাবেন। সেখানে বিভিন্ন দলের প্রার্থীর মার্কা থেকে নিজের পছন্দমতো সিল বাছাই করে ভোট দিতে পারবেন। যদি ভুল করে অন্য প্রার্থীর সিলে চাপ পড়ে যায়, তাহলে ভোটার তা সংশোধন করতে পারবেন। এভাবে ভোট দেয়ার কাজ সম্পন্ন হলে স্পিকারে বেজে উঠবে ‘আপনার ভোট সম্পন্ন হয়েছে’।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও সংশ্লিষ্টরা জানান, খুব সহজে এবং কোনো প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়া কম সময়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান সহজ। এতে ভোটারের কোনো ভয়-ভীতি পাওয়ার কারণ নেই। প্রত্যেক ভোটার নিজের ভোট দিতে পারবে। এখানে জাল ভোট দেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া বিদ্যুৎ না থাকলেও মেশিনের নির্দিষ্ট চার্জের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা ভোট গ্রহণ করা যায়। ইভিএম এর মাধ্যমে দ্রæত ভোট গণনা ও শেষ করা যায়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ভোটের দিন ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মাঠে থাকবে। এছাড়া, ৬শত পুলিশের পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবি, পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার ও গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু ইউসুফ জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে।