নিউইয়র্ক বইমেলার ‘আজীবন সম্মাননা’ পেলেন ফরিদুর রেজা সাগর
‘আজীবন সম্মাননা’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের অনুভূতি ব্যক্ত করছেন ফরিদুর রেজা সাগর। ছবি : এনআরবি নিউজ।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশু সাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর ও প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায় নিরলসভাবে সহায়তাকারী ওয়ালেদ চৌধুরীকে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করেছে নিউইয়র্ক বইমেলা ও বাংলাদেশ উৎসব কমিটি। বইমেলার তৃতীয় দিন অর্থাৎ রবিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় এই অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করা হয়।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ৪ দিনব্যাপি বইমেলা চলছে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে একটি পাবলিক স্কুলের মিলনায়তনে। শারীরিক অসুস্থতার জন্যে ওয়ালেদ চৌধুরী মেলায় উপস্থিত হতে না পারায় তার আত্মীয় এবং মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. জিয়াউদ্দিন সেটি গ্রহণ করেন।
অপরদিকে, ফরিদুর রেজা সাগর প্রবাসের আরেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সৈয়দ জাকি হোসেনের হাত থেকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এ সময় রাহাত হোসেন এবং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. জিয়াউদ্দিন পাশে ছিলেন।
১৪ জুন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে ডাইভার্সিটি প্লাজা থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে শুরু এই বইমেলার বিভিন্ন পর্বে বক্তব্য রাখেন এবং সাহিত-সংস্কৃতি বিষয়ে মতামত/মন্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন, লেখক আনিসুল হক, নাট্য ব্যক্তিত্ব জামালউদ্দিন হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা-বিজ্ঞানী-লেখক ড. নূরন্নবী, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার, জ্ঞান ও সৃজনশীল সমিতির নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক, প্রকাশত মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসের লেখক নাজমুননেসা পিয়ারি, ফেরদৌস সাজেদীন, ফকির ইলিয়াস, শামস আল মমীন, হোসাইন কবির, রানু ফেরদৌস, শিব্বির আহমেদ এবং প্রবাসের খ্যাতনামা সমাজকর্মী গোলাম ফারুক ভূইয়া।
এবারের বইমেলার আহ্বায়ক জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশ-বিজ্ঞানী ড. নজরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যে সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বইমেলার নেপথ্য সংগঠক লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনা ও উপস্থাপনায় বেশ কটি ইভেন্ট সম্পন্ন হয়।
বইমেলার তৃতীয় রজনীতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ছিলেন মধ্যমণি। দ্বিতীয় রজনীতে ছিলেন ড. তনিমা হামিদ। চতুর্থ দিনের বইমেলা হচ্ছে ঐ পাবলিক স্কুলের সন্নিকটে জুইশ সেন্টারে। সেখানে শুধু বইয়ের স্টল দেয়া হচ্ছে। কোনো আলোচনা সভা কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না।
নিউইয়র্কে বইমেলার এটি ছিল ২৮তম বার্ষিকী। তবে আগের মত লোক-সমাগম ঘটেনি। এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্কের বইমেলার একজন বিশিষ্ট অনুরাগী নাম গোপন রাখার শর্তে এ সংবাদদাতাকে বলেন, ‘বইমেলা মুষ্টিমেয় কিছু শহুরে এ্যালিটশ্রেণীর লোকের কাছে বন্দি। তারা চান না যে বইমেলায় আপামর প্রবাসীর সম্পৃক্ততা বাড়ুক। তাদের আচার-আচরণে মনে হয় যে, যারা বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন তারাই থাকুক মেলার সঙ্গে।’
নিউইয়র্কে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্টপোষক এই ব্যক্তি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘ঢাকা থেকে আসা কবি-সাহিত্যিক-প্রকাশকরাও আমার কাছে মন্তব্য করেছেন যে, বইমেলায় সাধারণ প্রবাসীর সম্পৃক্ততা বাড়লে তারাও উপকৃত হতেন। ’