এবছর শিক্ষা খাতে বাজেটের আকার বাড়লেও তা শতাংশে কমেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এবারের বাজেটে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত ও বেতন ভাতার জন্য রয়েছে থোক বরাদ্দ। তবে তা শিক্ষার মান উন্নয়নে যথেষ্ট নয় জানিয়ে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে ও মান উন্নয়ন করতে এই খাতে আলাদা বাজেট দেয়ার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের।
এবছর শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে প্রস্তাবিত বাজেট ৭৯ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১৫.২ শতাংশ। শিক্ষা খাতে প্রস্তাবিত বাজেট ৪১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা যা মূল বাজেটের ১১.৬৮ শতাংশ । এর মধ্য রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে- ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা , কারিগরি ও মাদ্রসা বিভাগে ৭ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা , প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে টাকার অংক বাড়লেও গতবারের তুলনায় তা দশমিক ৪৩ শতাংশ কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই শিক্ষা খাতে সবচাইতে কম বরাদ্দ। যদিও এবছর নন এমপিও শিক্ষকদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরনে এমপিওভুক্তির জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যখনই এমপিওভুক্তির তালিকা করা হবে সেটা যেন প্রাপ্যতার ভিত্তিতে হয়। ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয়।
এদিকে সরকার কারিগরি শিক্ষায় জোর দিলেও প্রস্তাবিত বাজেটে এই শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক বিএম মইনুল হোসেন বলেন, কারিগরি শিক্ষা মুখের কথা দিয়ে হয় না। ল্যাবের জন্য আধুনিক অত্যাধুনিক মেশিনারিজ লাগবে।
গত অর্থবছরে শিক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা এর মধ্য কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা ।
শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা নীতি অনুযায়ী বাজেটে আরো বরাদ্দের দাবি শিক্ষাবিদদের। সেই সাথে বাজেট বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।