প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখতে দেশীয় মোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে।
হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনে যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে কর রেয়াত। এ সব সুবিধা কার্যকর হলে দেশের মোবাইল উৎপাদন শিল্প দ্রুতই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে মতো স্থানীয় উৎপাদকদের।
দেশে ১৬ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। যাদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন কোটিরও বেশি। তবে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের অর্ধেকেরও বেশি আসে দেশের বাইরে থেকে। তাই আমদানি নির্ভরতা কমাতে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকে সহায়তা করতে গেল কয়েক বছর ধরেই দেয়া হচ্ছে বেশকিছু নীতি ও কর সুবিধা। যা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা আসে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে।
শুধু তাই নয়, দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদনে বাড়তি সুবিধাও মিলবে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
এডিসন গ্রুপের সহকারী পরিচালক এম এ হানিফ বলেন, এই বাজেটের ফলে নানাদিক দিয়ে দেশীয় মোবাইল শিল্প এবং কর্মখাত অনেক সুবিধা পাবে।
ফিচার ফোন আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক অপরিবর্তিত রাখলেও স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে তা ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয় বাজেট বক্তব্যে। ফলে আমদানি করা বিদেশি মোবাইল হ্যান্ডসেটের সাথে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে থাকবে দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, এই বাজেটের প্রস্তাবনার ফলে দেশীয় মোবাইল শিল্পও এখন প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
দেশে বর্তমানে ৫টি মোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বছরে ৬৬ লাখ হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছে।