রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় ডিঙি নৌকা ডুবে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, বুড়িগঙ্গার ওপাড়ের ব্যবসায়ীদের কারণে সদরঘাট এলাকায় নৌকা পারাপার বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান এম মাহবুব উল ইসলাম।
শিশু মেশকাত ও নুসরাতের স্বজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে সদরঘাটের পরিবেশ।
ঈদের ছুটি শেষে বরিশাল থেকে মা এবং মামার সঙ্গে ঢাকায় ফিরছিলেন মেশকাত ও নুসরাত, ছিল ছোট বোনও। সদরঘাটের ওয়াইজঘাট থেকে নৌকায় করে কেরানীগঞ্জের বাসায় যাওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু তা আর হয়নি।
নৌকায় উঠার পর কিছুদুর যেতে না যেতেই পূবালী ৫ লঞ্চের ঢাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় নৌকায় থাকা ৫ জন নদীতে পড়ে যায়। পরে সাঁতরে এবং অন্যদের সহায়তায় মেশকাত এবং নুসরাতের মা, মামা এবং ছোট বোনকে উদ্ধার করা গেলেও পাওয়া যায়নি দুই ভাই বোনকে।
ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ বাহিনীর প্রায় ৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানের পর প্রথমে মেশকাত ও পরে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সদরঘাট এলাকায় নৌকা পারাপার বন্ধে বার বার খেয়াঘাট সরানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও, কেরানীগঞ্জের ব্যবসায়ীদের জন্য তার সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান।
খুব শিগগিরই সদরঘাটে নৌকা দিয়ে পারাপার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।