যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বাংলাদেশি অভিবাসন ইস্যুতে বহিষ্কার।
ত্রিশ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার হয়েছেন এক বাংলাদেশি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধদের বিরুদ্ধে অভিযান দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করলেও রেহাই পাননি আহমেদ হোসেন বাবু নামে ওই বাংলাদেশি। সোমবার তাকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে, অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের নীতি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। নিউইয়র্ক থেকে আরও জানাচ্ছেন হাসানুজ্জামান সাকী।
আহমেদ হোসেন বাবুর ছেলে স্বর্গ, আর ছোট্ট মেয়ের নাম শান্তি। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে পরিচিত এ পরিবারটিতে এখন নরকের অশান্তি। প্রিয়তমা স্ত্রী ও আদরের সন্তানদের ফেলে দেশে ফিরতে হয়েছে বাবুকে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাকে বহিষ্কার করেছে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস।
আহমেদ হোসেন বাবুকে যখন বহিষ্কার করা হয় তখন নিউইয়র্কেই অভিবাসন ইস্যুতে বক্তব্য রাখছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি অভিযোগ করেন, অভিবাসন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন কংগ্রেসের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, প্রেসিডেন্টকে আমি বলেছি, আমার পাঁচ ছেলেমেয়ে, নয়জন নাতি-নাতনি। পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার নীতি কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পারিবারিক পুর্নমিলন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মূল্যবোধ। এ থেকে ব্যত্যয় ঘটলে তা হবে অনুচিত কাজ। রিপাবলিকান অনেক প্রেসিডেন্টেই অভিবাসীদের পক্ষে কাজ করেছেন, যেমন রোনাল্ড রিগ্যান। কিন্তু ট্রাম্প সবদিক থেকেই ব্যতিক্রম। অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছেন তিনি।
ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা। ন্যান্সি পেলোসি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সবাই বসবাস করতে পারে। সব অভিবাসীরই সেই অধিকার রয়েছে। সংবিধান সবাইকে সেই অধিকার দিয়েছে। সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা দেওয়া জরুরি বলে মনে করি।
কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের ধরতে ২৩ জুন দেশজুড়ে চিরুনী অভিযান শুরু করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু স্থগিতাদেশের মধ্যেই বাংলাদেশি আহমেদ হোসেনের বহিস্কারে বিস্মিত সবাই। বহিষ্কারাদেশ নিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে গত ১৮ জুন আইস-এর হাতে ধরা পড়েন তিনি।