গাইবান্ধায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রেললাইন পরিদর্শন করলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান
এবারের ভয়াবহ বন্যায় গাইবান্ধার আপ স্টেশন ত্রিমোহিনী-বাদিয়াখালী-বোনারপা
এদিকে আজ ২৭ জুলাই শনিবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান গাইবান্ধা থেকে বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, ‘বন্যার পানি বা বৃষ্টির প্রকোপ না বাড়লে ঈদের আগেই লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত করা সম্ভব হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘ত্রিমোহিনী থেকে বোনারপাড়া জংশন পর্যন্ত ১ হাজার ফুট রেললাইনের নিচের মাটি ও পাথর পানির তোড়ে ভেসে গেছে এবং এসব এলাকায় রেললাইন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং তাতে বন্যার পানি জমে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত এ সমস্ত রেললাইন দ্রæত মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে রেল যাত্রীরা ঈদ যাত্রায় স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পারে।’
রেললাইন মেরামত না পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রংপুর থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক্সটেনশন করে পার্বর্তীপুর হয়ে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করানো যায় কিনা সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে গত ২২ জুলাই সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ পরিদর্শনে আসেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলামসহ রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন, ‘যেভাবে রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে এ রুটে সরাসরি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে। তবে ঈদের আগে বিকল্প ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল শুরু করার চেষ্টা করা হবে।’
তবে বর্তমানে লোকাল এবং মেইল ট্রেন গাইবান্ধা থেকে বোনারপাড়া পর্যন্ত ট্রানজিট পদ্ধতিতে চলাচল করছে। লালমনিরহাট ও দিনাজপুর থেকে ডাউন ট্রেনগুলো গাইবান্ধা স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে। অপরদিকে সান্তাহার জংশন থেকে বোনারপাড়া পর্যন্ত মেইল ও লোকাল ট্রেনগুলো চলাচল করছে। এছাড়া আন্তঃগর লালমনি এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি পার্বর্তীপুর-সান্তাহার হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করছে।
