খুলনায় রেলওয়ে থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওসি ওসমান গণি মোটা অংকের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু সমঝোতায় রাজি না হওয়ায় তিনি হুমকি দিচ্ছেন বলেও ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর বড় বোন জানান, তার বোনের শ্বশুর বাড়ি সিলেটে। বাবার বাড়ি ফুলবাড়িগেট এলাকায়। তাদের মা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাকে দেখতে খুলনায় এসেছে বোন। বোন নিজে অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার যশোরে ডাক্তার দেখাতে গেছিল। শুক্রবার আসার সময় ফুলতলা এলাকায় জিআরপি পুলিশ প্রথমে তাকে মোবাইল চুরির অপরাধে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গণি পাঠান তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও ৪ জন পুলিশ সদস্য পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ওকে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।
তিনি আরও জানান, আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর তার বোন জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তার ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন। ওসি ছাড়া বাকি ৪ পুলিশ সদস্যের নাম জানাতে পারেননি ভুক্তভোগীর পরিবার।
সোমবার সকালে এ বিষয়ে ওসি ওসমান গণি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। ফেনসিডিলের মামলা থেকে রক্ষা পেতে সে এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তাকে মহিলা এসআই এবং মহিলা কনস্টেবল ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। থানায় রাতে ৮ জন পাহারায় থাকে। সেখানে তাকে কিভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রশ্ন করেন ওসি।
রেলওয়ে খুলনা সার্কেল পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনা শুনেছেন, তিনি জানান মেডিকেল রিপোর্ট পাবার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে ।