ময়মনসিংহ নগরীতে বিভিন্ন খালে ছাড়া হয়েছে মশা খেকো গাপ্পি মাছ।
রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়া ঈদে রাজধানী থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়ি ফেরায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিষয়টি মাথায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ওষুধ, ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট ও জনবল বৃদ্ধিসহ চিকিৎসা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে হাসপাতালগুলোতে। এদিকে, ময়মনসিংহ নগরীতে বিভিন্ন খালে ছাড়া হয়েছে মশা খেকো গাপ্পি মাছ।
রাজশাহীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সেলের আসন ও ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৫ দিনে ২৪৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। ঈদের সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রাখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ও ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও নার্সদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত ১৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। বিপুল সংখ্যক রোগীর ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মশক নিধনে বৃহস্পতিবার বিকেল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর বেশ কয়েকটি খালে মশা খেকো মসকুইটো ও গাপ্পি মাছের পোনা ছাড়া হয়।
অন্যদিকে, শেরপুরে ঢাকা থেকে ফেরত মানুষের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবেও এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক।
সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত ১০৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৫৬ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। ৬ জন রোগী অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকায় আনা হয়েছে।