কোনো মন্ত্রী, সাংসদও যদি দুর্নীতিতে জড়িত হয় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে আব্দুর রাজ্জাক
কোনো মন্ত্রী, সাংসদও যদি দুর্নীতিতে জড়িত হয় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যারা সীমা লঙ্ঘন করছেন, তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে আওয়ামী লীগের ইমেজ কমবে না বরং আরও বাড়বে।
দুর্নীতি ও অপকর্ম করে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না বরং তার উল্টোটাই হয় বলে নেতাদের জানিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই দুর্নীতি ও অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে সোচ্চার হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও নেতারা তা আঁচ করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করেছেন। ওই দিনের (৮ সেপ্টেম্বর) সভাতেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন জানান কৃষিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি, কিছু কিছু মানুষ আমার নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমি কঠোর পরিশ্রম করি, মানুষের কল্যাণ-মঙ্গলের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছি। আমি আমার পরিবারের বাবা-মাসহ ভাই-বোনদের হারিয়েছি। এত কঠোর পরিশ্রম করি বাংলার ১৬ কোটি মানুষের কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য। সেগুলোকে যারা ম্লান করছে, তাদের সঙ্গে আর কোনো আপস নয়। যারা সীমা লঙ্ঘন করছে, অবশ্যই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে। ওই দিনের সভার কথা আবার জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ওই মিটিংয়ে তিনি ইঙ্গিত দিলেও আমরা অতোটা বুঝতে পারিনি। দু’একটা সংগঠনের নামও তিনি বলেছেন। ওখানে বলা হয়েছিল, একটি সংগঠন আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করে ৩০ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি শুনে আরও ক্ষিপ্ত হন, বলেন চাঁদাবাজি করে আমার দীর্ঘায়ু কামনা করলে লাভ কী? মানুষ আমার জন্য বদ দোয়া করবে, আল্লাহও খুশি হবেন না। তারপর থেকে রাজধানীসিহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হচ্ছে অভিযান।