যেভাবে আ.লীগ নেতার বাসা থেকে উদ্ধার হল ৫ কোটি টাকা
ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বাসার সিন্দুক থেকে নগদ ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা ও ৭২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে র্যাব।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে র্যাব-৩ এনামুলের বাসায় অভিযান চালায়। মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান শেষে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সফিউল্লাহ বুলবুল সাংবাদিকদের জানান, সূত্রাপুরে এনামুলের ছয়তলায় বাসার দোতলা ও পাঁচতলায় তিনটি ভল্ট পেয়েছেন তারা। এ ছাড়া এনামুল ইংলিশ রোডে আরও পাঁচটি ভল্ট ভাড়া নিয়েছেন টাকা রাখার জন্য।
অভিযানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভল্ট খেলা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ কোটি ৫ লাখ নগদ টাকা ও ৭২০ ভরি স্বর্ণালংকার। এ ছাড়া পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, রাজধানীতে এনামুলদের ১৫টি বাসা আছে। তবে স্থানীয়রা জানান ওয়ারি, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, বংশাল, কুতুয়ালী এলাকায় এনামুল, রুপনের ৫০টি বাড়ি আছে। এনামুল এবং রুপন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অন্যতম শেয়ার হোল্ডার। ক্লাব থেকে টাকা এনে তারা বাসায় রাখতেন। টাকার পরিমাণ বিপুল হওয়ায় তা রাখার অনেক বেশি জায়গা লাগায় তিনি স্বর্ণালঙ্কার কিনে রাখতেন।
এনামুল হক এক সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ড চলে গেছেন এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়া পলাতক। র্যাব তাকে খুঁজছে।
র্যাব আরও জানায়, নারিন্দার একটি বাসায় এনামুলের আরও একটি ভল্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে তারা এখন অভিযান চালাবেন।
এনামুল হক গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং রুপন ভূঁইয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। র্যাব জানায় ১৯৮৫ সাল থেকেই এনামুল ও রুপন ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও আরামবাগ ক্লাবে পরিচালিত অভিযানের সূত্র ধরে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় এ ব্যবসার সঙ্গে।