আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে
রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে ওআইসির পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিগনেটরি দেশ না হওয়ায় আদালতের রায় মানতে বাধ্য না হলেও এটি মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বলেও মনে করেন তারা। সবকিছু ছাপিয়ে এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য চীনের সদিচ্ছা মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান বিশ্লেষকরা।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও মধ্যযুগীয় নির্যাতনে দুই বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেয় প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা। নানামুখী কূটনৈতিক তৎপরতা ও দফায় দফায় দেন দরবারের পরও মিয়ানমারের অসহযোগিতার কারণে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না তাদের। এতে ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি।
এ অবস্থায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করার ঘোষণা দিলেন গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী। গেলো বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত সভায় ওআইসির পক্ষে গাম্বিয়া এ মামলা করবে বলে জানান তিনি।
বিষয়টিকে আশাব্যাঞ্জক বলে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেন, গাম্বিয়া যে প্রসেসটা নেবে তা বাংলাদেশকে ত্বরান্বিত করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, মামলা হলে নতুন করে চাপের মুখে পড়বে মিয়ানমার।
এনাম খান আরো বলেন, এ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটা ইফেক্ট হবে। সুতরাং বাংলাদেশের জন্য এটি বেশ ভালো।