উত্তরা থেকে কমলাপুর মেট্রোরেলের স্টেশন হবে ১৭
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট এমআরটি লাইন সিক্সের আওতায় উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্টেশন হবে ১৭টি। গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে ৪০ মিনিটে। আধুনিক বিশ্বের সর্বোচ্চ সুবিধা থাকবে একেকটি স্টেশনে। চলন্ত সিঁড়ির পাশাপাশি থাকবে লিফটের ব্যবস্থা। চলতি টিকিটের পাশাপাশি থাকবে সাপ্তাহিক ও মাসভিত্তিক কার্ড। তবে এখনো ভাড়া নির্ধারণ না করলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন খরচটা থাকবে সাধ্যের মধ্যে।
ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট-এমআরটি লাইন সিক্স এর আওতায় উত্তরা থেকে শুরু হবে যাত্রা। প্রথম স্টেশন উত্তরা উত্তর, এরপর উত্তরা সেন্টার। পরে উত্তরা দক্ষিণ হয়ে মিরপুরে ঢুকবে এমআরটি সিক্স। পল্লবী হয়ে মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও থেকে বিজয় সরণী, ফার্মগেইট। এরপ কারওয়ানবাজার শাহবাগ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে মেট্রোরেল। সেখান থেকে বাঁক নিয়ে সচিবালয়, মতিঝিল। এখানে মেট্রোরেলের শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন করে তা টেনে নেয়া হয়েছে কমলাপুর পর্যন্ত।
প্রতিটি স্টেশনেই থাকবে আধুনিক সুযোগ সুবিধা। থাকবে সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে কার্ড ব্যবহারের সুবিধা। এছাড়া মেট্রোরেলের যাত্রী না হলেও রাস্তা পারাপারের জন্য ব্যবহার করা যাবে স্টেশনগুলো। এছাড়া এমআরটি পুলিশ ফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। গঠন করা হবে এমআরটি পুলিশ ফোর্স।
তবে এখনো ভাড়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধন্তে পৌঁছাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, এটা নিয়েও আলাপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণের সাধ্যের মধ্যে ভাড়া ঠিক করতে হবে।
২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে উদ্বোধন করা হবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল।