জাতীয় স্বার্থে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জলসীমার অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে নৌ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। জাতীয় স্বার্থে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত নেভাল একাডেমীতে পৌঁছার পর নৌ বাহিনী প্রধানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা তাকে বরণ করে নেন। এসময় তিনি নবীন নৌ কর্মকর্তাদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পাশাপাশি প্যারেডের সালাম গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামরিক পরিমণ্ডল ছাড়াও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আবাসন প্রকল্প এবং ব্লু -ইকোনমিতে নৌ বাহিনীর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নৌ বাহিনীকে আধুনিক ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। নৌ বাহিনীর জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
চলতি বছর বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ৬১ জন মিডশীপ ম্যান এবং ১১ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ ৭২ নবীন অফিসার কমিশন লাভ করেন। এরমধ্যে ৭ জন মহিলা এবং ২ জন মালদ্বীপের কর্মকর্তা রয়েছেন।
নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত এবং ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, নৌ সেনাদের জন্য ঢাকাসহ ২২টি অঞ্চলে বহুতল ভবণ নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। আন্তজার্তিক মানের সামরিক একাডেমি গঠন করা হয়েছে।
সদ্য কমিশন প্রাপ্তদের মধ্যে রাইয়ান রহমান চৌকস মিডশীপ ম্যান হিসাবে সোর্ড অব অনার, সাইদিস সাকলাইন নৌ প্রধান স্বর্ণপদক এবং সাব লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।