ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরসহ আহতরা সবাই সুস্থ আছেন
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরসহ আহতরা সবাই সুস্থ আছেন। প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শিগগিরই তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। এদিকে হামলার ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূরসহ অন্যদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বৈঠক করেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। পরে পরিচালক জানান, সবাই আশঙ্কামুক্ত। কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাদের শিগগিরই ছেড়ে দেয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বলেন, উনার (নূরের) দুই-চারটা জায়গায় সমস্যা রয়েছে তার জন্য এক্সরে করতে বলা হয়েছে। হাতে একটা আঘাত আছে সেটাও আমরা এক্সরে করব। বাকি যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা তা আমরা করার জন্য উপদেশ দিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা তাদের সার্বিক চিকিৎসা দেব।
এদিকে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা। এ ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না বলে অভিযোগ করেন তারা। ডাকসু ভবনের সিসিটিভির ফুটেজ কারা সরিয়ে ফেলেছে সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সাদাদলের শিক্ষকরা।
হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩৫ জনকে।
এর আগে, ভিপি নূরসহ মোট ৫ জনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে কোটা সংস্কার নেতাকর্মীদের ওপর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় ভিপি নূরকে অবরুদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি ডাকসুতে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নূরসহ অন্তত ২৮ জন শিক্ষার্থী আহত হন। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহতরা জানান, তারা ভিপি নূরসহ ডাকসু ভবনের ভিতরে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর লাঠিসোটা, রড নিয়ে হামলা করে। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে এক এক করে বের করে পিটিয়ে আহত করে ছেড়ে দেয়।