বৃষ্টিতে ভিজল যশোর
তীব্র ঠাণ্ডায় জবুথবু সারাদেশ। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, যশোরে তাপমাত্রা বাড়লেও কমছে না শীতের তীব্রতা। সেইসাথে আজ সকালের আকস্মিক বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। বৃষ্টির কারণে জমেনি এ অঞ্চলের সবচে বড় সবজির হাট। কৃষকদের দাবি, এ বছর ফলন কম হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভ করতে পারছেন না তারা। অবশ্য কৃষি বিভাগ বলছে, সবজির দাম ভালো থাকায় কৃষকের লোকসান নয়, লাভই হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে যশোরে তীব্র শীত। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছে। অবশ্য গত তিনদিন ধরে তাপমাত্রা বেড়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলেও শীতের তীব্রতা কমেনি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে আকস্মিক বৃষ্টিতে তাপমাত্রা আবারও কমতে শুরু করেছে। এতে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সে সাথে পথঘাট কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় চলাচলেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী বলেন, এভাবে যে বৃষ্টি হবে আমরা আসলে কেউই বুঝতে পারিনি। রাস্তাঘাটে চলতে অসুবিধা হচ্ছে।
স্থানীয় এক শ্রমিক বলেন, গত পাঁচ সাতদিন ধরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এখানে। শীত কুয়াশার জন্য মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না। তারওপর আবার আজ বৃষ্টি হলো।
এদিকে বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের সবচে বড় সবজির হাট সাতমাইলে জমেনি হাট। খুব কম কৃষকই সবজি নিয়ে হাটে আসেন। তারা বলছেন, ফলন কম হওয়ায় এবার কাঙ্ক্ষিত লাভ করতে পারছেন না তারা।
অবশ্য কৃষি বিভাগ বলছে, এবছর সবজির দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লোকসানে নয় লাভজনক অবস্থানেই রয়েছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এমদাদ হোসেন শেখ বলেন, সারাবছরই সবজির দাম বাজারে ভালো ছিলো। যার জন্য কৃষকদের লোকসান হওয়ার কোনো কারণ নেই।
জেলায় আর সকাল পৌনে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আবহাওয়া দপ্তর।