ইভিএমের বিপক্ষে বিএনপির প্রার্থীরা
ইভিএম এ নির্বাচন হবে জেনেও এখনো এই পদ্ধতির বিপক্ষে অবস্থান বিএনপির প্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ এই পদ্ধতিতে কারচুপির সুযোগ আরো বেশি। তবে ইভিএমেই সুষ্ঠু ভোট সম্ভব জানিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা বলছেন, এই পদ্ধতিই সবচেয়ে জনপ্রিয়। এদিকে, মতভেদ দূর করতে ইসিকে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনের সব আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ। নয় জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। একদিন বাদেই প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার প্রচারণায় জমে উঠবে ভোটের মাঠ। নির্বাচনের তফসিলের দিনেই সিইসি জানিয়ে দিয়েছিলেন এবারে দুই সিটির নির্বাচন হচ্ছে ইভিএমএ।
নির্বাচনে অংশ নিলেও শুরু থেকেই এই ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে অনাস্থা বিএনপির। প্রার্থীরা এখনো বলছেন এর বিরুদ্ধে। এই পদ্ধতিতে কারচুপির সুযোগ আছে এমন অভিযোগে তারা বলছেন শেষ পর্যন্ত ইসির কাছে অনুরোধ থাকবে ব্যালটে ফেরার।
ডিএনসিসি’র বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, ইভিএম নিয়ে শঙ্কা আছে বার বার বলে আসছি। আমাদের দলীয় অবস্থান ইভিএম নিয়ে যেটি রয়েছে সেখান থেকে আমরা সরে আসিনি। ইভিএমে তথ্য বিকৃতির সুযোগ রয়েছে। চাইলে সিদ্ধান্ত বদল করা যাবে।
ঠিক বিপরীত অবস্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা বলছেন যেহেতু এই পদ্ধতিতে কারচুপির সুযোগ নেই তাই ইভিএম এর মাধ্যমেই শতভাগ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। তাই বিরোধিতা না করে জনপ্রিয়তা যাচাই করতে ইভিএম এ আস্থা রাখতে আহ্বান তাদের।
ডিএনসিসি’র আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, এটা একটা সুন্দর অটোমেশন সিস্টেম। এবং মানুষকে ভোটকেন্দ্রে গিয়েই ভোট দিতে হবে। আপনার ভোট কেউ দিতে পারবে না। ইভিএমের মাধ্যমেও স্বচ্ছ ভোট হবে না, ব্যালটের মাধ্যমেও স্বচ্ছ ভোট হবে না। তাহলে কোন ভোটটা স্বচ্ছ হবে আমার প্রশ্ন বিএনপির কাছে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে ইভিএমই আস্থা বিশেষজ্ঞদের। তবে মতভেদ দূর করতে নির্বাচনের আগে সকল অংশীজনকে নিয়ে কমিশনের আলোচনায় বসা উচিত বলে মত তাদের।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইভিএম নিয়ে সমস্যা থাকলে ইভিএম নিয়ে স্টাডি করুন। নির্বাচন কমিশন ইভিএম সম্পর্কে প্রার্থীদের ভালো মন্দ দেখাক। তারপর আমরা সবাই ইভিএমে যাবো।
৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোট।