ভারত না ছাড়লে মার্কিন নারীকে ধর্ষণের হুমকি
অপরাধ বিদেশিনী। তাই ভারত তাঁর জন্য নয়। এমনকি দ্রুত দেশ না ছাড়লে তাঁকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছিল এক ব্যক্তি। রোববার (৫ জানুয়ারি) কলকাতার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে এ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন ওই নারী। ওই নারীর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কলকাতায় বসবাস করছেনে ঐ মার্কিন নারী।
এতদিন কেউ তাকে কোনো ধরনের হুমকি দেয়নি। ঐ দিন পার্কে হাঁটতে গেলে এক যুবক হঠাৎই তাকে ভারত ছাড়তে বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, রোববার সকালে এক ‘হেরিটেজ ওয়াক’ পার্কের কাছে এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন ওই মার্কিন নারী। কর্মসূত্রে এবং বিবাহসূত্রে বিগত সাত বছর ধরে তিনি কলকাতার বাসিন্দা। হেঁটে কলকাতার ঐতিহ্য চেনানোর এক সংস্থার কর্ণধার ও ওই নারীর স্বামী তার ফেসবুক পোস্টে জানান, সকাল আটটায় ‘মর্নিং ওয়ার্ক’ করার কথা ছিল। সেই মতো তিনি স্ত্রীকে নিয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপরে টেলিফোন ভবনের কাছে বাকিদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাদের গন্তব্য ছিল চায়না টাউন।
হঠাৎ এক যুবক তার স্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল কিছু কথা বলছে। প্রথমে ওই ব্যক্তিকে তারা পাত্তা দেননি। পরে ওই যুবক তার স্ত্রীর কাছে গিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন। তার স্ত্রীকে ‘বিদেশিনি’ সম্বোধন করে ওই ব্যক্তি জানান, এ দেশ বিদেশিদের জন্য নয়। দ্রুত দেশ না ছাড়লে তাকে ধর্ষণের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এর পরেই আতঙ্কিত দম্পতি জরুরি নম্বর ১০০-তে ডায়াল করে কলকাতা পুলিশের সাহায্য চান।
পাশাপাশি পরিচিত এক উপপরিদর্শককে ফোন করেন তারা। মার্কিন নারীর স্বামী জানান, ফোন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হন বৌবাজার থানার এক উপপরিদর্শক। তিনি অভিযুক্তকে খুঁজে বের করেন। পুরো বিষয়টি শুনে ওই দিনের ‘ওয়াক’এ পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেন।
তিনি আরও জানান, সাত বছর ধরে তার স্ত্রী কলকাতায় আছেন। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতিতে কখনো পড়েননি। তার ফেসবুক পোস্ট থেকে বিষয়টি জেনে এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শহরবাসীর একটি অংশ। পুলিশ জানিয়েছে, ফোন পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে ওই নারীকে। তবে দম্পতি কোনো লিখিত অভিযোগ না করায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।