পোশাক খাতের বাইরে সম্ভাবনাময় অন্যখাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঘাটতি আছে।
গত দুই দশকে বাংলাদেশের রফতানি বহুমুখীকরণে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে মনে করে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি বাণিজ্য বিষয়ক সংস্থা আইএফসি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পোশাক খাতের বাইরে সম্ভাবনাময় অন্যখাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঘাটতি আছে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা জানান, রফতানি পণ্যের সংখ্যা ও বাজার বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে রফতানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা তৈরি নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন তারা।
আশির দশকে দেশে তৈরি পোশকাখাতের সূচনার পর ধারাবাহিকভাবে রফতানি আয়ে অবদান বেড়ে তা ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, কিন্তু এ দীর্ঘ সময়ে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রফতানিখাত হাতেগোণা দু’একটি। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রফতাতে বৈচিত্র্য আনতে হলে গবেষণায় বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন।
তাদের মতে, আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারি বরাদ্দ রাখা উচিত। আইএফসির গবেষণা বলছে, প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা নিশ্চিত করলে রফতানিতে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারবে চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক এবং হালকা প্রকৌশল খাত।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পোশাক খাতের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে অন্যদেরও সুবিধা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব বলেন, পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে কাজের দক্ষতা এবং মানসিকতার উন্নয়ন জরুরি।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, সরকারের নীতিকাঠামোর অভাব নেই, তবে প্রয়োগে দুর্বলতা আছে।
তিনি বলেন, সরকার রফতানি বাড়াতে চায়। এসব বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। পলিসি সাপোর্টে বৈষম্য থাকলে তা দূর করতে হবে।
বক্তারা বলেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ওঠার পর ২০২৭ সাল থেকে রফতানিতে শুল্ক সুবিধা কমে যাবে, এতে বাড়তি প্রতিযোগিতায় পড়বে বাংলাদেশ।