ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসায় কয়েকটি দেশের কূটনৈতিকরা এক গোপন বৈঠক
আজ ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসায় কয়েকটি দেশের কূটনৈতিকরা এক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। গণমাধ্যম কর্মীরা এই বৈঠকের খবর পেলে সেখানে উপস্থিত হন। এই বৈঠকের ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কূটনৈতিকরা বলেছেন এটা রুটিন বৈঠক, এই ব্যাপারে মিডিয়া ব্রিফ করার কিছু নেই।
প্রশ্ন উঠেছে যে, ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মাত্র দুইদিন আগে কূটনৈতিকদের এই বৈঠক কিসের? এরকম বৈঠক হলে সাধারণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী গণমাধ্যমকে ব্রিফ করার রেওয়াজ রয়েছে। অথচ কূটনৈতিকরা এই রেওয়াজ ছাড়াই এই বৈঠক কিভাবে করলেন এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বিরোধী বলেও মন্তব্য করেছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কিছুদিন ধরেই কূটনৈতিকদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার নির্বাচন কমিশনে নিজে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন এবং অন্যান্য দেশের কূটনৈতিকরাও বলেছেন এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। সরকার এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিকদের গোপন বৈঠককে রাজনৈতিক মহল বাড়াবাড়ি বলছে এবং একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিকদের এ ধরণের তৎপরতা নজিরবিহীন বলেও মন্তব্য করেছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ধারণা করা হচ্ছে, ড. কামাল হোসেন এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে যেন কূটনৈতিকরা প্রভাব বিস্তার করে এবং সরকারকে যেন চাপে রাখে এজন্যই কয়েকদিন ধরে ধর্ণা দিচ্ছিল। তার অংশ হিসেবেই কূটনৈতিকরা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কূটনৈতিকরা এই গোপন বৈঠক করেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।