বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও সাংবাদিক পেটানোর মধ্য দিয়ে শেষ হলো ভোটগ্রহণ
ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও সাংবাদিক পেটানোর মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট চলে।
দুই সিটিতে ব্যবহার করা হয় ২৮ হাজার ৮৭৮টি ইভিএম সেট। সকাল ৮টায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত যানবাহনের বাইরে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভোটের সময় ঢাকার চিত্র বদলে যায়। চিরচেনা যানজট, মানুষের ভিড় ছিল না। রাস্তা ছিল পুরো ফাঁকা।
এবারই প্রথম ঢাকার স্থানীয় নির্বাচনে সকল ভোট ইভিএম এ গ্রহণ করা হয়েছে। আর বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের উপস্থিতিও কম ছিল। বিএনপির অভিযোগ, অনেক জায়গায় তাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিএনপি প্রার্থীরা তাদের অভিযোগ লিখিত আকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করেছেন। ভোটারদের কম উপস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস।
ইভিএমে ভোট দেয়ার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মানুষ। অনেকে ইভিএমে সহজে ভোট দিতে পারলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অনেককে। এদিকে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারাও ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন। তবে সকালে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।